কিডনি অকেজো হলে টের পাবেন যেসব লক্ষণ

টুইট ডেস্ক : কিডনির মতো শরীরের প্রধান অঙ্গগুলোর নিয়মিত যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। কিডনি শরীরের যমজ অঙ্গ যা রক্ত পরিশুদ্ধ করে, শরীর থেকে বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। শিমের আকৃতির এই অঙ্গগুলো দেখতে অনেকটাই হাতের এক মুষ্টির ন্যায়।

মেরুদণ্ডের দু’পাশে পাঁজরের খাঁচার নিচে অবস্থান দুই কিডনির। যদি তারা সঠিকভাবে কাজ না করে, পুরো শরীর প্রভাবিত হয়। এমনকি ছোটখাটো সমস্যাও মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

কিডনি শরীরে পানির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। নাইট্রোজেন, টক্সিন এবং ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য রাখে। এই ফাংশনগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন না হলে, কিডনি রোগ, হৃদ্‌রোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি রয়েছে। সেজন্য তাদের সুস্থ রাখা খুবই জরুরি। কিডনি ব্যথা এবং কিডনি রোগের লক্ষণগুলো জানাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।

কিডনিতে সমস্যা হলে আমাদের শরীর কিছু সংকেত দেয়। বিশেষ করে যাদের কিডনিতে পাথর বা ইনফেকশন আছে, তারা পিঠে (বিশেষ করে নিচের অংশে) বা তলপেটে ব্যথা অনুভব করেন। একইভাবে, প্রস্রাবের সমস্যাও কিডনির সমস্যা নির্দেশ করতে পারে।

কিডনি সমস্যা হলে যেসব লক্ষণ দেখা দেয়

যেমন ঘন ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাব করতে অসুবিধা, প্রস্রাবে রক্ত বা ফেনা। প্রস্রাবের রক্ত গোলাপি, লাল বা বাদামি হতে পারে। মাঝে মধ্যে ব্যথা হতে পারে। ব্যথার কারণে বমি বমি ভাব এবং বমির মতো সমস্যা অনুভব হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, জ্বর হতে পারে। জ্বর সংক্রমণের লক্ষণ।

কিডনি আক্রান্ত হলে প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া, জ্বর, শরীরের কোনো অংশে ফুলে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে শরীরে পানি জমে থাকে এবং ফোলাভাব দেখা দেয়। এছাড়া রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণে ক্লান্তি এবং দুর্বলতার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কিডনি রোগ সাধারণত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, সংক্রমণ বা ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে হয়ে থাকে। অতিরিক্ত লবণ বা চিনি খাওয়া, পর্যাপ্ত পানি পান না করা এবং ব্যায়াম না করাও কিডনির পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারও কিডনির ক্ষতি করতে পারে।

ধূমপান এবং অ্যালকোহল পান করলেও কিডনি রোগ হতে পারে। আপনার কিডনি সুস্থ রাখতে, লবণ, চিনি এবং প্রোটিন কম খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করুন। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।

ধূমপান এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। যাদের ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো অবস্থা রয়েছে তাদের কিডনির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য নিয়মিত ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।