নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি বিএনপির
টুইট ডেস্ক: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য তোড়জোর শুরু করেছে বিএনপি। জানা গেছে, দেশের প্রতিটি সংসদীয় আসনে দলীয় নেতাদের ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিজ নিজ এলাকায় সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিএনপির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের রোডম্যাপের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি নির্বাচনের জন্য সাংগড়ঠনিক কাঠামো আরও শক্তিশালী করতে কাজ শুরু করেছে দলটি।
চলতি ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে সারা দেশের ইউনিয়ন থেকে জেলা-মহানগর পর্যন্ত কমিটি গঠনের কাজ। আগামী তিন মাস এই কার্যক্রম চলবে। দলের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সাংগঠনিক এই পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সারাদেশে কমিটি গঠনের কাজ চলছে। এটাও নিঃসন্দেহে নির্বাচনের একটি প্রস্তুতি।
বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রার্থীদের তালিকা ধরে প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। মৃত্যু এবং বার্ধক্যজনিত কারণে দলের অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
প্রার্থীতালিকা চূড়ান্তকরণে যুক্ত থাকেন এমন একজন নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রায় ২৫০ আসনের প্রার্থী সব সময় চূড়ান্তই থাকে। ৪০ থেকে ৫০ আসনে একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী থাকেন। এর বাইরে এবার জোটগত নির্বাচন না হলে ওই আসনে নতুন অনেক প্রার্থী দেখা যেতে পারে।
প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করার সঙ্গে জড়িত একজন নেতা বলেন, এবারের নির্বাচনে ৫০টির বেশি আসনে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। আর তরুণ প্রার্থীর সংখ্যা হতে পারে শতাধিক। এ তালিকায় ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছেন এমন প্রার্থীও থাকছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, নির্বাচনের জন্য আমাদের এক ধরনের প্রস্তুতি সব সময় থাকে। ফলে আগামী মাসেও যদি নির্বাচন হয়, তাহলেও আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। এখন দরকার একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ। তাহলে পুরো দেশ নির্বাচনমুখী হবে।
এদিকে নির্বাচনে বিজয়ী হলে আওয়ামী লীগ সরকার পতন আন্দোলনে যুক্ত মিত্র দলগুলোকে নিয়ে ‘জাতীয় সরকার’ এবং দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সারাদেশে গণসংযোগে এই বিষয়গুলো প্রাধান্য পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিএনপি শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত চলতি বছরের জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এর আগে ২০১৮ সালে দলটি অংশ নিয়েছিল ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জোটের অংশ হয়ে। ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিল দলটি।