বিএনপির স্মারকলিপিতে যা আছে

টুইট ডেস্ক: গত ২ ডিসেম্বর ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। এর আগে ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতন অপবাদসহ একাধিক অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে মন্তব্য করতে দেখা যায় নয়াদিল্লিকে। সার্বিক পরিস্থিতিতে দলের তিন অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল-যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের সমন্বয়ে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে প্রতিবাদী পদযাত্রা ও স্মারকলিপি দিয়েছে বিএনপি।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) বেলা দেড়টায় ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি প্রদান করে দলের ৩ অঙ্গসংগঠনের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

স্মারকলিপিতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান করা থেকে শুরু করে ত্রিপুরায় সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকা অবমাননা ও বহিস্কৃত ইসকন নেতার বিষয়ে নয়াদিল্লির ভাবনা- এরকম একাধিক ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে দলটি।

আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলাকালে দেশটির আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নীরব ভূমিকা উঠে আসে স্মারকলিপিতে। বলা হয় এটি ভিয়েনা কনভেনশন- ১৯৬১ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন যা অবন্ধুসুলভ আচরণের সুস্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় কেবলমাত্র ধর্মীয় পরিচয়ের প্রেক্ষাপটে নয়, নৈতিক পদস্খলন ও বিতর্কিত বক্তব্যের জেরেই গ্রেফতার করা হয়েছে ইসকন থেকে বহিস্কৃত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। কিন্তু তার এই গ্রেফতার ইস্যু্কে প্রতিবেশী দেশের মিডিয়া থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদরা ভিন্নপথে বর্ণনা করছে, যা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির কারণ বলেও অভিযোগ করা হয় সেখানে।

প্রতিবাদলিপির বড় একটা জায়গা জুড়ে ছিলো সার্বোভৌমত্বের আলাপ। প্রতিবেশী দেশের প্রতি অবজ্ঞা সরূপ কোনো বক্তব্য প্রচার তা মিডিয়ার মাধ্যমে হোক বা কূটনৈতিক পরিসরে- এটি থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি অপতথ্য ও অপপ্রচার বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানানো হয় ভারতের সরকারের প্রতি।

এসময় ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ ও সমতাসূলভ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে নয়াদিল্লির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিএনপি।