প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর: ঐতিহাসিক পরিচিতি

মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উদ্‌যাপন উপলক্ষে নৌবাহিনীর জাহাজ উন্মুক্ত

টুইট ডেস্ক : প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে ১৯৭২ সালে সশস্ত্র বাহিনী এবং অন্যান্য আন্তঃবাহিনী সংস্থার প্রচার ও জনসংযোগ কাজ পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রপতির আদেশবলে প্রতিষ্ঠিত হয়। সীমিত লোকবল ও সরঞ্জাম নিয়ে প্রথমে পুরাতন হাইকোর্ট ভবনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিস ভবনের সাথে ছোট একটি অংশে আইএসপিআর এর অফিস স্থাপিত হয়। জনাব যাহিদ হোসেন আইএসপিআর পরিদপ্তরের প্রথম পরিচালক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। তৎকালীন ০৮ জন কর্মকর্তা সহ এ দপ্তরের জনবল ছিল ৩৭।

পরিদপ্তরের কর্মপরিধি বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৭ সালে এর সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্বিন্যাস করা হয়। এ সময় ১৪ জন কর্মকর্তা ও ৪২ জন অন্যান্য পদবীর কর্মচারীসহ মোট ৫৬ জন জনবল নিয়ে দপ্তরটির সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠন করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে Chief Martial Law Administrator এর সচিবালয় থেকে জারিকৃত আদেশের মাধ্যমে এই পরিদপ্তরের সাংগঠনিক কাঠামো পুনঃবিন্যাস করা হয়। এ সময় দপ্তরটির জনবল হ্রাস করে ০৬ জন ১ম শ্রেণী ও ৪ জন ২য় শ্রেণীর কর্মকর্তাসহ মোট জনবল ৩৩ জনে কমিয়ে আনা হয়।

১৯৯৩ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিস ভবন পুরাতন হাইকোর্ট ভবন থেকে শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত গণভবন কমপ্লেক্সে স্থানান্তরের সাথে সাথে আইএসপিআর পরিদপ্তরের অফিস ভবনও গণভবন কমপ্লেক্সে স্থানান্তরিত হয়। পরবর্তীতে আরও দু’বার স্থান পরিবর্তনের পর আইএসপিআর পরিদপ্তর ২০০৪ সালে বর্তমান অবস্থান পুরাতন লগ এরিয়া সদর দপ্তররের দোতলায় অস্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত হয়। সে অবধি, আইএসপিআর এই অবস্থানে থেকেই সকল গণমাধ্যমের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের যাবতীয় কার্যক্রমের প্রচারণা ও জনসংযোগের কার্যক্রম অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাচ্ছে।

পরিদপ্তরের প্রধান উল্লেখযোগ্য কার্যাবলী মধ্যে সশস্ত্র বাহিনী এবং অন্যান্য সংস্থার কার্যক্রম বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম যেমন সংবাদপত্র, বেতার এবং টেলিভিশনে সঠিকভাবে উপস্থাপন এবং প্রচারণার উদ্দেশ্যে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করা এবং বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।
কোন তথ্য যাতে ফাঁস/বিকৃত না হয় সেজন্য তিন বাহিনীর তথ্য, সংবাদ, মতামত, ছবি এবং বিজ্ঞাপন প্রকাশ/প্রচারের ক্ষেত্রে একমাত্র সংস্থা হিসাবে যথাযথ পন্থা অনুসরণ করা।
সশস্ত্র বাহিনী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন অন্যান্য দপ্তর/সংস্থার জন্য ঘরোয়া সাময়িকী প্রকাশ করা।
সশস্ত্র বাহিনী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন অন্যান্য দপ্তর/সংস্থা সমূহের সদস্য কর্তৃক লিখিত নিবন্ধ/প্রবন্ধ প্রকাশনা/প্রচারণার জন্য সম্পাদনা ও ছাড়পত্র প্রদান করা।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের অংশগ্রহণ/উপস্থাপনায় বেতার ও টেলিভিশনে অনুষ্ঠানাদি প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ ও সমন্বয় সাধন করা।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রামাণ্য চিত্র নির্মাণ ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা।
সশস্ত্র বাহিনীর কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রেস ক্লিপিং ও তথ্যসূত্র সংরক্ষণ করা।
প্রয়োজনে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী সংক্রান্ত খবর বিদেশী সংবাদ প্রতিবেদনে অনুসন্ধান ও পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রতিবাদলিপি প্রেরণ করা। এবং
প্রয়োজনে, সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষে মনস্তাত্ত্বিক প্রচারাভিযান (Psychological Warfare) পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করা। সূত্র : আইএসপিআর ওয়েবসাইট.