সোশ্যাল স্কিল উন্নত করার উপায়
টুইট ডেস্ক: সোশ্যাল স্কিল বা সামাজিক দক্ষতার উন্নতি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনাকে উপকৃত করতে পারে। সামাজিক দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এগুলো আপনাকে আরও কার্যকরী এবং দক্ষতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে সাহায্য করতে পারে।
ফলস্বরূপ, আপনি সহকর্মী, ক্লায়েন্ট এবং নতুন পরিচিতিদের সঙ্গে আরও অর্থপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতে, বজায় রাখতে এবং বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, সামাজিক দক্ষতা বিকাশের জন্য কী করবেন-
১. অন্যদের সঙ্গে মিশতে হবে
বন্ধু, পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ সহকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে কথা বলার উপায় খুঁজুন। নানা প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে আপনার কথোপকথনের দক্ষতা অনুশীলন করুন। একইভাবে, পরবর্তী বোর্ড মিটিংয়ে অন্তত একটি প্রকল্প বা ব্যবসায়িক কৌশল অফার করার জন্য নিজের জন্য একটি ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।
২. ছোট উপায়ে শুরু করুন
আপনি প্রতিদিন যাদের সঙ্গে কথা বলেন তাদের সঙ্গে জড়িত হয়ে ছোট উপায়ে আপনার সামাজিক দক্ষতা বিকাশ শুরু করুন। উদাহরণ স্বরূপ, আপনি যদি কেনাকাটা করার জন্য বাইরে থাকেন, তখন কোনো সেলসম্যানের অভিবাদনের উত্তরে শুধু ধন্যবাদ না বলে আরও কিছু কথা বলতে পারেন। যেমন সে কেমন আছে তা জানতে চাইতে পারেন বা এরকম আরও কিছু। একইভাবে, পরিচিতদের সঙ্গে কথোপকথন দীর্ঘ করার জন্য দূরে থাকা আত্মীয়-পরিজনদের নিয়মিত খোঁজ-খবর নিন।
৩. মন খুলে জিজ্ঞাসা করুন
মন খুলে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা অন্যদের সঙ্গে কথা বলার জন্য একটি কার্যকর উপায় হতে পারে। এটি বন্ধু, পরিবার, সহকর্মী এবং এমনকি আপনার উর্ধ্বতনদের সঙ্গে আপনা সুন্দর বোঝাপড়ার সম্পর্ক তৈরি করে দিতে পারে। ইতিবাচক থাকুন। কাউকে আক্রমণ করা কিংবা হিংসাত্মক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। প্রশ্ন করার আগে অবশ্যই নিজের কথা বলার পরিসীমা সম্পর্কেও আপনাকে জানতে হবে। নয়তো হিতে বিপরীত হতে পারে।
৪. সহকর্মীদের সামাজিক দক্ষতা পর্যবেক্ষণ করুন
সামাজিক দক্ষতা বিকাশের দিকে আরেকটি পদক্ষেপ হলো সহকর্মীদের পর্যবেক্ষণ করা। কথা না বলেই যোগাযোগ, শারীরিক ভাষা (যেমন হাসি এবং মাথা নাড়ানো) এবং কথোপকথন চালিয়ে যাওয়ার জন্য তারা যে শব্দভাণ্ডার ব্যবহার করে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। আপনার সহকর্মীদের সামাজিক দক্ষতাকে কী কার্যকর এবং আকর্ষক করে তোলে তা খেয়াল করুন। সেগুলো আপনার মধ্যে না থাকলে গ্রহণ করতে পারেন।
৫. চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলা
কথোপকথনের সময় চোখের যোগাযোগ বজায় রাখার অভ্যাস করুন। কারও সঙ্গে কথা বলার সময় কমপক্ষে তিন থেকে পাঁচ সেকেন্ডের জন্য চোখের দিকে তাকাবেন। আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন এমন একজন ঘনিষ্ঠ সহকর্মীর সাথে অনুশীলন করতে পারেন। কথোপকথনের শুরুতে, আপনার সহকর্মীর কথা শোনা, তাকে ধন্যবাদ জানানোএবং কথোপকথন বন্ধ করার সময় চোখের যোগাযোগ ধরে রাখার অভ্যাস করুন।
৬. মনোযোগী শ্রোতা
নিজের চিন্তাভাবনা জানানোর মতোই গুরুত্বপূর্ণ হলো একজন সক্রিয় শ্রোতা হওয়া। এর মাধ্যমে আপনি অন্যদের ধারণা এবং মনের কথা সহজেই জানতে পারবেন। চোখের যোগাযোগ বজায় রেখে মনোযোগী শ্রোতা হয়ে উঠুন, অপরপক্ষের কথার মধ্যে কথা না বলেও চোখ, মাথা নাড়িয়ে তাকে কথা বলে যেতে অনুমতি দিতে পারেন। এতে অন্যের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ দক্ষতা বাড়বে।