গাজায় প্রতিদিন দুটি জ্বালানির ট্যাংকার প্রবেশের অনুমতি দিবে ইসরায়েল

টুইট ডেস্ক : ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভা গাজায় প্রতিদিন দুটি জ্বালানি ট্যাংকারের প্রবেশ অনুমোদন দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই প্রবেশের প্রধান উদ্দেশ্য হলো পানি এবং পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থা সচল রাখা। তাশি হানেগবি, ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, এই অনুমোদনের পেছনে এই কারণটির বরাবর ইসরায়েলের নিরাপত্তা প্রতিরক্ষার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছেন।

এই সিদ্ধান্তের ফলে অভিযানের লক্ষ্যচ্যুতি হবে কিনা বা হামাসকে সমর্থন করা হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নও উঠেছে। হানেগবি বলেছেন, ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) ও ইসরায়েলস ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাকাডেমি এমন প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছে যে, অ্যামেরিকার যেকোনো অনুরোধ এক্ষেত্রে বিবেচনা করা হবে।

হানেগবি আরও জানিয়েছেন যে, গাজায় যেকোনো মহামারি ছড়ানো রোধে প্রতিদিন দুইটি জ্বালানির ট্যাংকার প্রবেশ করতে দেয়ার সিদ্ধান্তটি ইসরায়েলের ইচ্ছার ফল।

তিনি আরও বলেন, যুদ্ধরত সেনা সদস্য কিংবা সেখানকার বেসামরিক মানুষেরা মহামারির কবলে পড়ুক তা আমরা চাইনা। যদি কোনো মহামারি ছড়িয়ে পড়ে তাহলে অভিযান বন্ধ হয়ে যাবে। কোনো মানবিক ও বিশ্ব বিপর্যয়ের মধ্যে আমরা লড়াই চালিয়ে যেতে পারব না।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলোতে শুক্রবার প্রকাশিত হওয়ার পর ইসরায়েল সরকারের অনেক সদস্য এর নিন্দা করেছেন।

সিদ্ধান্ত পাল্টে গাজায় জ্বালানি প্রবেশ রোধের অনুরোধ করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে একটি চিঠি লেখেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মট্রিচ। পরবর্তীতে এই চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স এও প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্তটি খুবই অদ্ভুত। এটি আইডিএফ সেনাদের, জিম্মি হওয়া মানুষ ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মুখে থুতু মারার শামিল। এভাবে যুদ্ধ জয় সম্ভব নয়। এভাবে জিম্মিদেরকে মুক্ত করা কিংবা হামাসকে পরাজিত করাও সম্ভব নয়।

এখন পর্যন্ত মিশর হয়ে গাজায় প্রবেশ করা সহায়তার মধ্যে ছিল খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম। তবে সহায়তার মধ্যে জ্বালানি ছিল না। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হামাস জ্বালানি ব্যবহার করতে পারে, এমন অভিযোগে গাজায় জ্বালানি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় ইসরায়েল। সুত্র: টিবিএন২৪