রাবি ছাত্রলীগের মামলায় কোটা আন্দোলনকারীসহ ১৫ শিক্ষার্থী আসামী

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান আবাসিক হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন হলের কক্ষ ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কোটা বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত বুধবার শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কাইয়ুম মিয়া বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় এই মামলা করেন বলে জানিয়েছেন মতিহার থানার ওসি শেখ মো. মোবারক পারভেজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা ছাড়াও অজ্ঞাত আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানান, এ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

মামলার এজাহারে ক্ষতির পরিমাণ সর্বমোট ২৭ টি পুরাতন মোটরসাইকেল যার আনুমানিক মূল্য ৬৪,০০,০০০ টাকা ও ১,৯০,০০০ টাকা মূল্যের মালামাল এবং দুইটি ল্যাপটপ চুরি যার মূল্য আনুমানিক ১,৪০,০০০ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে।

এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা হলেন, রাবি কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের অন্যতম সমন্বয়কারী ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন আম্মার, অর্থনীতি বিভাগের তোফায়েল আহমেদ তপু, বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা, আরবি বিভাগের মাহাদী হাসান মাহির, পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের মাহাদী হাসান মারুফ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মেহেদী সজিব, দর্শন বিভাগের আশিকুর রহমান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শাহ পরান, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের দেওয়ান বাঁধন ও সিরামিকস বিভাগের তানভীর আহম্মেদ রিদম।

এছাড়া, অর্থনীতি বিভাগের মনিমুল হক, লোকপ্রশাসন বিভাগের আব্দুল্লাহ আল মেহেদি, অর্থনীতি বিভাগের আল মুহি ফেরদৌস, রসায়ন বিভাগের শাহরিয়ার পলাশ, ফার্মেসি বিভাগের মো. আনারুল।

নগরীর মির্জাপুর এলাকার মো. নাঈম ও মো. হাসিবুল, বুধপাড়ার মো. হাবিবুর রহমান ও মো. আশিকুর রহমান তুহিন এবং কাজলার শাহরিয়ার আহমেদসহ অজ্ঞাত আরও অনেকে।

এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে লাঠি হাতে বিক্ষোভ নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে প্রদক্ষিণের পর কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার কক্ষে ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হল, মাদার বখস্ হল, জিয়া হল, মতিহার হল ও শাহ মখদুম হলের অন্তত ২০টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। আন্দোলনকারীদের মধ্যে কয়েকজনকে কক্ষগুলোতে থাকা জিনিসপত্র বাইরে বের করে এনে পুড়িয়ে দিতে দেখা যায়।

এ সময় বেশ কিছু বাইকে অগ্নিসংযোগও করা হয়। ছাত্রলীগের হল কক্ষগুলোতে তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দেয় আন্দোলনকারীরা।