চীন-মার্কিন সহযোগিতা বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক
বিশ্ব ডেস্ক : ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোতে চায়নিজ প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন তার ও জিংপিং এর মধ্যে কোনোরকম ভুল বোঝাবুঝি না থাকাটা জরুরি।
বাইডেন প্রকাশ করেছেন, আমি মনে করি নিজেদের মধ্যে কোনোরকম ভুল ধারণা ও যোগাযোগে কোনো ত্রুটি না রেখে একে অপরকে স্পষ্টভাবে বুঝতে পারাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
বাইডেন প্রত্যাশা করেন অ্যামেরিকা ও চায়নায় মধ্যে প্রতিযোগিতা যেন দ্বন্দ্বে পরিণত না হয়। তিনি যোগ করেন, মুখোমুখি আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের দুজনের মধ্যে আলোচনা সবসময়ই অকপট ও খোলাখুলি হয়েছে।
বাইডেন বলেছেন যে, উভয় দেশের জনগনের স্বার্থেই তাদের একত্রে কাজ করা উচিত। জলবায়ু পরিবর্তন, মাদক নির্মূল ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে দুইজনের একসঙ্গে কাজ করা উচিত ।
সান ফ্রান্সিসকোয় এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (অ্যাপেক) সম্মেলনকে সামনে রেখে চায়নার প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং বুধবার অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন।
বৈঠকে জিংপিং বিশ্ব অর্থনীতিতে চলমান সংকটগুলোর ওপর আলোকপাত করেন। এক বছর আগে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে এই দুই নেতার সবশেষ দেখা হয়।
জিংপিং বলেন, কোভিড মহামারি শেষ হয়ে গেলেও বিশ্বে এর ক্ষতিকর প্রভাব রয়ে গেছে। বৈশ্বিক অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে তবে এর গতি খুবই ধীর।
অ্যামেরিকা-চায়না সম্পর্ককে বিশ্বের ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক’ বলে আভিহিত করেছেন চায়নার প্রেসিডেন্ট। অ্যামেরিকা ও চায়নার মধ্যকার সম্পর্ক আগে এতো মসৃণ ছিল না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
জিংপিং যোগ করেন, অনেক দুর্যোগ ও বাধা বিপত্তির পরও আমাদের সম্পর্কের অগ্রগতি হচ্ছে। আমাদের উভয়ের ওপরই দুই দেশের জনগন, সমগ্র বিশ্ব ও ইতিহাসের দায়িত্ব রয়েছে।
তিনি যোগ করেন, চায়না ও অ্যামেরিকার মতো দুটি বড় দেশের জন্য একে অপরের প্রতিপক্ষ হওয়াটা কখনোই বিকল্প হতে পারে না। একে অন্যকে পরিবর্তন করতে চাওয়াটা একেবারেই অবাস্তব। দ্বন্দ্ব-সংঘাত উভয়ের জন্য ক্ষতির কারণ হবে।
নিজেদের দেশের ও সমগ্র বিশ্বের উন্নতির জন্য দুই নেতার এক সঙ্গে কাজ করা উচিত বলে শি মন্তব্য করেন।