আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে পুলিশসহ ৪০ জন আহত

টুইট ডেস্ক : বগুড়ার শেরপুরে অবরোধ চলাকালীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। আহতের মধ্যে শেরপুর থানার ওসিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য রয়েছেন। বুধবার বেলা ১১টায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড এলাকার সিঅ্যান্ডবি কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘের্ষর সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ও ৩০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়েছে। সংঘর্ষের কারণে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে অন্তত আধা ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। সংঘর্ষের পর মহাসড়কে আবার পণ্যবাহী ট্রাকসহ অন্য যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

সংঘর্ষে আহত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশের সদস্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় আহত বিএনপির সদস্যরা চিকিৎসা নিয়েছেন শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে।

সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে যে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন তারা হলেন, শেরপুর থানার ওসি বাবু কুমার সাহা, উপপরিদর্শক হোসেন আলী, কনস্টেবল শামিম রেজা, মো. আলফাজ ও মো. রেজাউল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে করতোয়া বাসস্ট্যান্ডের দক্ষিণ পাশে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মিছিল হচ্ছিল। এ সময় মহাসড়কের ওপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর পর উভয় পক্ষ লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এরপরও আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে অন্তত ২০ মিনিট সংঘর্ষ চলে। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। এরপর পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসে।

শেরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) সিরাজের উপস্থিতিতে আজ মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি মিছিল থেকে তাদের মিছিলের ওপর অতর্কিত হামলা করা হয়। মিছিলে আওয়ামী লীগের লোকজন লাঠিসোঁটা ও ককটেল ছুড়ে মারেন। এতে তাদের মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তাদের সংগঠনের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বলেন, আজ বেলা পৌনে ১১টায় তাঁরা ওই এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে শান্তি মিছিল করছিলেন। বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল থেকে তাঁদের মিছিলের ওপর অতর্কিত হামলা করা হয়। এতে আহত হয়েছেন তাঁদের সংগঠনের অন্তত ২০ জন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আওয়ামী লীগসহ ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা রয়েছেন।

শেরপুর থানার ওসি বাবু কুমার সাহা বলেন, উভয় দলের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়তে হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে তিনি, তার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হোসেন আলীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন।