১১৮ স্ট্রাইকরেটে কোহলির ব্যাটিং
টুইট ডেস্ক : দুই দলের ব্যাটাররা মিলিয়েই সর্বোচ্চ স্কোরার। শেষ পর্যন্ত জিতেছেও তার দল। তবুও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন বিরাট কোহলি। টানা ৬ পরাজয়ের পর গতকাল (বৃহস্পতিবার) সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ৩৫ রানের সান্ত্বনার জয় তুলে নিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।
ম্যাচটিতে কোহলি ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দেখা পেলেও তার ইনিংসটি ছিল ধীরগতির। ম্যাচটি হারলে যার দায়টা হয়তো নিতে হতো তাকে। ভারতীয় তারকা ব্যাটারের মন্থর ব্যাটিং নিয়েই চলছে সমালোচনা। তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন দেশটির কিংবদন্তি ব্যাটার সুনীল গাভাস্কারও।
৩৭ বলে হাফসেঞ্চুরি করার পর, ৪৩ বলে ৫১ করে আউট হয়ে যান কোহলি। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল চারটি চার এবং একটি ছক্কার মারে। কোহলির রান দলের জন্য মূল্যবান হলেও, তিনি যে গতিতে রান তুলেছেন, সেটা উদ্বেগের বিষয় বলে দাবি করেছেন গাভাস্কার। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে। সাবেক ভারতীয় এই ব্যাটার স্ট্রাইক রেটকে গুরুত্ব দেওয়ার দাবি তুলেছেন।
প্রথম ১৮ বলে ৩২ রান করেছিলেন কোহলি। কিন্তু তার পরের ১৯ রান করতে তিনি খরচ করেন ২৫ বল। ধারাভাষ্য দেওয়ার সময়ে গাভাস্কার বলেন, ‘বিরাট কোহলি মাঝের ওভারে তার ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিলেন।
আমার ঠিক মনে নেই, তবে কোহলি ৩১-৩২ রান করার পর একটি বাউন্ডারিও মারেননি। আপনি যখন ওপেন করতে নামছেন এবং ১৪-১৫ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করছেন, তখন আপনার ১১৮ স্ট্রাইক রেট আশা করা যায় না। দল আপনার থেকে এমনটা আশা করে না। বরং আরও ভালো কিছু আশা করে।’
কোহলির মন্থর ব্যাটিংয়ের দিনে ঝড় তুলেছেন রজত পাতিদার। আরসিবির এই ব্যাটার মাত্র ১৯ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। পাতিদার ও শেষ দিকে ক্যামেরন গ্রিনের ইনিংসের সুবাদে ব্যাঙ্গালুরুর পুঁজি দুইশো ছাড়ায়।
আগে ব্যাট করতে নেমে ২০৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় স্বাগতিক হায়দরাবাদকে। যার বিপরীতে ট্রাভিস হেড, হেনরিখ ক্লাসেনরা ঝড় তুলতে না পারায় কামিন্সের দল থেমে যায় ১৭১ রানে।