রাশিয়ার তিন যুদ্ধজাহাজ বন্ধুত্বপূর্ণ সফরে চট্টগ্রামে
টুইট ডেস্ক : রাশিয়া থেকে এসে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করেছে তিন যুদ্ধ জাহাজ। এই তিনটি জাহাজ মধ্যে দুটি হলো সাবমেরিন বিধ্বংসী যুদ্ধ জাহাজ এবং একটি জ্বালানিবাহী ট্যাংকার। রাশিয়া থেকে এসে বাংলাদেশে এই ধরণের বিশেষ জাহাজগুলি প্রথম বার চট্টগ্রামে এসেছে। এর আগে ১৯৭২ সালে মাইন অপসারণ অভিযান পরিচালনার জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছিল রুশ নৌবহর।
রুশ জাহাজগুলো পুরোপুরি বন্ধুত্বপূর্ণ এক সফরে বাংলাদেশে এসেছে বলে জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে রাশিয়ার অনারারি কনসাল আশিক ইমরান। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে মনে হবে। এই বন্দুত্বপূর্ণ সফরের মাধ্যমে রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও উন্নত হতে পারে।
“সাবমেরিন বিধ্বংসী দুটি যুদ্ধজাহাজের নাম ‘অ্যাডমিরাল ত্রিবুতস’ ও ‘অ্যাডমিরাল প্যানতেলেইয়েভ’ এবং একটি জ্বালানিবাহী ট্যাংকারের নাম ‘পেচেনগা’। গত ৫০ বছরে এই প্রথম কোনো রুশ যুদ্ধ জাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে এসেছে। চট্টগ্রাম বন্দর মাইনমুক্ত করার জন্য ১৯৭২ সালের এপ্রিল থেকে ১৯৭৪ সালের জুন পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের সাহায্যে মাইন সরানোর কাজ করেছিল”
তবে বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে রয়েছে এই রাশিয়ার জাহাজগুলি, যা দেশের বন্দর ও সমুদ্র পরিবহনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই সফরের মাধ্যমে রাশিয়া ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও উন্নত হতে পারে এবং দুই দেশের মধ্যে আমন্ত্রণমূলক বাণিজ্যিক সহযোগিতা আরো বাড়তে পারে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মন্টিটস্কির মতে, দুই রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক বর্তমানে খুব উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। তার প্রমাণস্বরূপ রুশ যুদ্ধজাহাজগুলোর বাংলাদেশ সফর।
রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মন্টিটস্কি জানান, ৫০ বছর আগে চট্টগ্রাম নৌবন্দর থেকে মাইন অপসারণের জন্য একটি রুশ নৌবহর মোতায়েন করা হয়েছিল। সে সময় রুশ নৌবহর এসেছিল মূলত সদ্য স্বাধীন হওয়া একটি দেশকে মানবিক বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচাতে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই বন্দরে অনেক মাইন বসানো হয়েছিল, যে কারণে অনেক জাহাজ ডুবেও গিয়েছিল।
সেই সময় সোভিয়েত নৌবাহিনীর ৮ শতাধিক নাবিক ২৬ মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চট্টগ্রাম বন্দরের মাইন অপসারণ করেন। সেই অভিযানে এক রুশ ডুবুরি মারা যান। তবে শেষ পর্যন্ত সোভিয়েত নৌসেনারা তাদের লক্ষ্য অর্জন করেন। তারপর থেকেই মূলত চট্টগ্রাম বন্দরে সারাবিশ্ব থেকে জাহাজ চলাচলের পথ সুগম হয়।