আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল কিভাবে বুঝবেন, জেনে নিন
টুইট ডেস্ক : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বলতে আমাদের শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বোঝায়, যা আমাদের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং অন্যান্য রোগজীবাণু থেকে রক্ষা করার জন্য ক্রমাগত কাজ করে।
সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা বজায় রাখার জন্য শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকগুলো কারণ রয়েছে যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে পারে। সেগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ঘন ঘন সংক্রমিত হওয়া-
দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অন্যতম প্রধান লক্ষণ হল ঘন ঘন সংক্রমিত হওয়া। যদি আপনি সর্দি, ফ্লু বা অন্যান্য সংক্রমণে ঘন ঘন বা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হন তাহলে সতর্ক হোন। এক্ষেত্রে সংক্রমণ নিরাময় হতে তুলনামূলক বেশি সময় লাগতে পারে এবং আপনি অন্যদের তুলনায় গুরুতর উপসর্গ অনুভব করতে পারেন।
ক্ষতর নিরাময় দেরিতে হওয়া-
দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার আরেকটি উল্লেখযোগ্য লক্ষণ হলো আঘাত এবং ক্ষতর নিরাময় ধীরে হওয়া। স্বাভাবিকভাবেই ইমিউন সিস্টেম নিরাময় প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য ক্ষতের পথে প্রোটিন এবং ইমিউন কোষ পাঠিয়ে আঘাতের দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায়। তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে প্রক্রিয়াটি ধীর হয়ে যেতে পারে যা শেষ পর্যন্ত আরও জটিলতা এবং ঝুঁকি বাড়ায়।
দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি-
দীর্ঘস্থায়ী বা ক্রমাগত ক্লান্তি দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার আরেকটি সাধারণ লক্ষণ। যখন ইমিউন সিস্টেম ক্রমাগত আপনার স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকে, তখন এটি প্রচুর শক্তি ব্যবহার করে এবং আপনি পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিলেও প্রচুর ক্লান্ত বোধ করতে পারেন। সেইসঙ্গে অ্যালার্জি, হজমের সমস্যা, উচ্চ-রক্তচাপ, পেশী এবং জয়েন্টে ব্যথা এবং ক্রমাগত মাথাব্যথা দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের লক্ষণ হতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে যা করবেন-
সুষম খাবার খান-
পুষ্টিগুণে ভরপুর খাবার খান। আপনার প্রতিদিনের খাবারে প্রচুর ফল, শাক-সবজি, গোটা শস্য এবং প্রোটিন রাখুন। এগুলো আপনার শরীরকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করবে।
ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি এবং জিঙ্কের মতো ভিটামিন; সেলেনিয়াম এবং আয়রনের মতো খনিজলি ইমিউন সিস্টেমের কার্যকারিতাকে বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
নিয়মিত ব্যায়াম-
রক্ত সঞ্চালন উন্নত করা, ইমিউন কোষের উৎপাদনকে উন্নীত করা এবং ইমিউন সিস্টেমের সামগ্রিক কার্যকারিতা বাড়াতে আরেকটি ভাল উপায় হলো নিয়মিত ব্যায়াম করা। জগিং, ওয়ার্কআউট বা যেকোনো ধরনের শারীরিক ক্রিয়াকলাপে প্রতিদিন সময় ব্যয় করুন। এগুলো আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণভাবে কাজ করবে।