অধিনায়কত্ব হারানো শাহিনের ইন্সটাগ্রাম স্টোরি নিয়ে ধোঁয়াশা
টুইট ডেস্ক : নাটকপ্রিয় পাকিস্তান ক্রিকেটে নতুন করে নাটক শুরু হয়েছিল গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলার সময়েই। ভারতের মাটিতে সে টুর্নামেন্টে বাজে পারফর্ম্যান্সের কারণে এরপর বেশ বড় রকমের রদবদলই হয়েছিল দেশটির ক্রিকেটে। বোর্ড থেকে শুরু করে দল, কোচিং স্টাফ এবং অধিনায়কও পরিবর্তন করা হয়েছিল তবে লাভের লাভ কিছুই হয়নি।
এরপরও টানা দুই সিরিজে ব্যর্থতাই মিলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ফের অধিনায়ক বদলেছে পিসিবি। শাহিন আফ্রিদিকে সরিয়ে সাদা বলে বাবর আজমকে ফিরিয়ে এনেছে পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড। এখানেই অবশ্য নাটকের অবসান হয়নি।
বাবরকে অধিনায়ক করে একটি বিবৃতি দিয়েছিল পিসিবি। সেখানে ব্যবহার করা হয়েছিল শাহিনের ভুয়া মন্তব্য। বিবৃতিতে শাহিনকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছিল, ‘পাকিস্তান জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেয়াটা ছিল আমার জন্য অনেক সম্মানের।
আমি এই স্মৃতি সবসময় মনে রাখব। দলের একজন সদস্য হিসেবে, আমাদের অধিনায়ক-বাবর আজমকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব। তাঁর অধীনে আমি খেলেছি, তাঁকে আমি অনেক সম্মান করি, মাঠে এবং মাঠের বাইরে তাঁকে সবসময় সাহায্য করার চেষ্টা করব।’
এদিকে পিসিবির এমন মিথ্যাচারের পর বেশ খেপে গিয়েছিলেন পাকিস্তানি এই পেসার। এমনকি তিনি সংবাদ সম্মেলন করতে চেয়েছিলেন বলেও জানা যায়।
তবে তাঁকে নিরস্ত করেন দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। শাহিনের সঙ্গে দ্রুত বৈঠক করে সমস্যার অবসান ঘটনা তিনি।
শাহীনের এই ইস্যু নিয়ে কাকুলে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে যান চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ থাকলেও পাকিস্তান ক্রিকেটের বৃহত্তর স্বার্থে সবকিছু মেনে নিয়ে সামনে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই পক্ষই।
এদিকে আজ নিজের ইন্সটাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করছেন শাহিন। হিংস্র সিংহের সেই ভিডিওতে লেখা ছিল, ‘আমাকে কখনোই মন অবস্থায় ফেলবেন না যখন আমাকে দেখাতে হবে যে আমি কতোটা নিষ্ঠুর এবং বেপরোয়া হতে পারি।
আমার ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিও না। আমি খুব দয়ালু একজন মানুষ হতে পারি কিতু সহ্যের সীমা অতিক্রম করলে আমি এমন কাজ করবো যা কেউ কখনো ভাবতেও পারেনি।’
পাকিস্তানি গতি তারকার এমন পোস্টের পর শুরু হয়েছে আলোচনা। তবে কি অধিনায়কয়্ব হারানো ইস্যুতে এখনো রেগেই আছেন শাহিন? নাকি ভবিষ্যতে যেন এমন কোনো ঘটনা আর না ঘটে সে বার্তাই দিয়ে রাখলেন তিনি?