পেটের সমস্যা দূর করতে চান? মেনে চলুন এই ঘরোয়া উপায়
টুইট ডেস্ক : পেট খারাপ থাকলে তা যেমন অস্বস্তিকর, তেমনই শরীরের জন্য ক্ষতিকরও। কারণ খাবার ঠিকভাবে হজম হতে না পারলে শরীরে পুষ্টি পৌঁছবে না।
আপনিও কি এমন সমস্যায় ভুগছেন? দুশ্চিন্তা করে এর সমাধান জেনে নিতে হবে। কোন পুষ্টির অভাবে পেট খারাপ লেগেই থাকে তা আপনার জানা জরুরি। এতে সমাধান সহজ হবে।
একটি নতুন গবেষণা অনুসারে, স্বাস্থ্যকর খাবার পর্যাপ্ত না খেলে একটি পুষ্টির অভাব হতে পারে যা এই ধরনের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।
সেই পুষ্টি উপাদান হলো ফাইবার। সেল হোস্ট এবং মাইক্রোব জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে যে, যখন আমাদের শরীরে খাদ্যতালিকাগত ফাইবারের অভাব থাকে, তখন অস্বাস্থ্যকর অন্ত্রের জীবাণু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়। যার ফলে ডায়রিয়া, পেট ফাঁপাসহ বিভিন্ন হজম সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়। পেট খারাপ প্রতিরোধে করণীয় জেনে নিন-
১. ফল এবং শাক-সবজি খান
বিভিন্ন ফল এবং শাক-সবজি নিয়মিত খেলে তা পেট খারাপ দূরে রাখতে কাজ করে। বিশেষ করে মৌসুমী ফলমূল ও শাক-সবজি সমৃদ্ধ পুষ্টির জন্য পরিচিত। এই খাদ্য উপাদানগুলো ফাইবার এবং কম ক্যালোরি সমৃদ্ধ, যা পেট খারাপের সমস্যা সারিয়ে আপনাকে সুস্থ রাখতে কাজ করে।
২. দানা শস্য খান
পেট খারাপ প্রতিরোধে আপনার প্রতিদিনের ফাইবার গ্রহণ বাড়ানোর আরেকটি স্বাস্থ্যকর উপায় হলো দানা শস্য খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া। বাদামী চাল, কুইনোয়া, আস্ত গম, ওটমিল ইত্যাদির মতো দানা শস্য ফাইবারে ভরপুর। যা আপনার পেট দীর্ঘ সময়ের জন্য ভরিয়ে রাখে এবং আপনার হজম প্রক্রিয়াকে মসৃণ করতেও সাহায্য করে।
৩. শুকনো ফল এবং বাদাম খাওয়া
অল্পস্বল্প ক্ষুধা পেলেই আমরা ভাজাপোড়া কিংবা মুখরোচক কিছু খাওয়ার কথা ভাবি। এসময় চিপস, চানাচুর, বিস্কুট খেয়ে ফেলি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এসবের পরিবর্তে শুকনো ফল, বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন।
এগুলো স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু। ফাইবার সমৃদ্ধ কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার হলো আখরোট, বাদাম, পেস্তা, খেজুর, ডুমুর, কুমড়ার বীজ, চিয়া বীজ এবং ফ্ল্যাক্সসিড।
৪. পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলুন
রিফাইনিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে একটি উপাদান রাসায়নিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। যার ফলে সমস্ত পুষ্টিকে ধুয়ে ফেলে।
খাবারে পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট যোগ করলে তা শরীরের ফাইবার গ্রহণে ব্যাঘাত ঘটায়, যা হজম এবং বিপাকীয় প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। তাই বিশেষজ্ঞরা পেট খারাপের সমস্যা দূর করার জন্য এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন।