বিশ্বে ত্রাণকর্মীদের জন্য এখন সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান গাজা

টুইট ডেস্ক: বিশ্বে মানবিক ত্রাণকর্মীদের জন্য এ মুহূর্তে সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান হয়ে উঠেছে গাজা। ইসরায়েলের বিমান হামলায় সবশেষ এনজিও ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে) এর সাত কর্মী নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের ৬ মাসে ত্রাণকর্মীদের এ মৃত্যুই প্রথম নয়। এর আগেও যুদ্ধের শুরু থেকে অন্তত ১৯৬ জন ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছেন বলে পরিসংখ্যান দিয়েছে এইড ওয়ার্কার সিকিউরিটি ডাটাবেজ (এডব্লিউএসডি)। মানবিক ত্রাণকর্মীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার বড় বড় সব ঘটনার রেকর্ড রাখে এডব্লিউএসডি। তাদের তথ্যমতে, গত বছর ১৬১ জন ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছিল। ত্রাণকর্মীদের জন্য এযাবৎকালের সবচেয়ে প্রাণঘাতী বছর ছিল সেটি।

গাজায় সবচেয়ে বেশি ত্রাণ কাজ পরিচালনা করে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএসআরডব্লিউএ)। যুদ্ধের মধ্যে এই সংস্থার কর্মীরাই সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে। সোমবার গাজার মধ্যাংশের দাইর আল বালাহ এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ডব্লিউসিকে-এর নিহত কর্মীদের মধ্যে পোল্যান্ড, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার তিন এবং যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার এক দ্বৈত নাগরিকও রয়েছেন।

বিবিসি জানায়, এই নিহতের ঘটনার পর নরওয়ের শরণার্থী কাউন্সিল এবং জাতিসংঘের সাবেক মানবিক ত্রাণ বিষয়ক প্রধান জেন এগল্যান্ড বলেছেন, আর কোথাও এত ত্রাণকর্মী মারা যায়নি। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি হতে হবে। যথেষ্ট হয়েছে।

সোমবারের হামলার ঘটনার পর ত্রাণকাজ করা গোষ্ঠীগুলোও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, তারা যে কোনও সময়ের চেয়ে এখন তাদের কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে বেশি চিন্তিত।

ইউএনআরডব্লিউএ সোমবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, তাদের ১৭৩ জন স্টাফ সদস্য কাজে নিয়োজিত থাকার সময় নিহত হয়েছে। আরও ৩৫৩ টি হামলার ঘটনায় ইউএনআরডব্লিউএ-এর বিভিন্ন ভবন এবং এর ভেতরের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া, আরও ৫২ টি ঘটনায় ইউএনআরডব্লিউএ- এর ভবন সামরিক কাজে ব্যবহার হয়েছে কিংবা সেগুলোতে হস্তক্ষেপ হয়েছে।