ধুম পড়েছে অনলাইনে ঈদের কেনাকাটার
টুইট ডেস্ক : আসন্ন ঈদুল ফিতর ঘিরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শপিংমল ও পোশাকের দোকানে বেচাকেনা জমে উঠেছে। এর পাশাপাশি অনলাইন মাধ্যমেও ঈদের কেনাকাটা চলছে। বিভিন্ন পোশাক ও বাহারি বিজ্ঞাপন আর অফারে অনলাইনে ঈদ কেনাকাটায় ধুম পড়েছে।
সোমবার অনলাইনে পোশাক ও প্রসাধনীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিক্রেতা, ক্রেতা ও মার্কেট প্লেস সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। এবার অনলাইনে ঈদের কেনাকাটা করেছেন ফারাজ মাহবুব। তিনি বলেন, অনলাইনে কেনাকাটা একটু চ্যালেঞ্জিং।
কারণ সঠিক বিক্রেতা নির্বাচন, সঠিক পণ্য পাওয়ার নিশ্চয়তা, পণ্যের গুণগত মান ঠিক থাকা ও সঠিক সময়ে পণ্য হাতে পাওয়া অনেকসময় একটা বিড়ম্বনার মতো।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠিত ও ভোক্তাদের প্রতি দায়বদ্ধ অনেক অনলাইন প্রতিষ্ঠান আছে। সেসব জায়গা থেকে পণ্য কিনে ঠকার সম্ভাবনা অনেকটা কম। অনলাইনে সেবা নিয়ে সময় সাশ্রয় হয়, তবে আমার মনে হয় দাম একটু বেশিই দিতে হয়। এই ঈদে আমি অনলাইন থেকে প্যান্ট, পায়জামা এবং পাঞ্জাবি কিনেছি।
অনলাইনে দীর্ঘদিনের কেনাকাটার অভিজ্ঞতা ফারহানা সুমির। তিনি বলেন, সাধারণত নিউমার্কেট বা গাউছিয়ায় গেলে অনেক ঘুরতে হয়। রমজানে শত শত দোকান ঘুরে পছন্দের পোশাকটি খুঁজে পাওয়া বেশ কষ্টের। তারপর আবার রোজা রেখে শরীরও দুর্বল লাগে।
আমাদের দেশে এখন অনলাইনে অনেক কালেকশন আছে। নোজ পিন থেকে শুরু করে চুলে ক্লিপ বা বিয়ের শাড়ি কি নেই অনলাইনে? সবকিছুই এখন হাতের মুঠোয়।
তবে অবশ্যই ভালো রিভিউ আছে এমন পেজ থেকে কেনা উচিত। জেরিন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, এবার ঈদে আমি থ্রি পিস, জুতা ঘড়ি কিনেছি অনলাইনে।
সদ্য যাত্রা শুরু করা অনলাইন বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান স্কাই মার্টের প্রতিষ্ঠাতা সজিব খান বলেন, ঈদ সামনে রেখে আমরা যাত্রা শুরু করেছি। এ সময়টাতে মানুষের চাহিদা প্রচুর। বিষয়টি মাথায় রেখেই ঈদের আগেই আমাদের যাত্রা শুরু করা। আলহামদুলিল্লাহ ক্রেতাদের ভালো সাড়া পাচ্ছি। এত অল্প সময়ে প্রফিটে যাবো ভাবিনি।
তিনি বলেন, আজকাল মানুষের অনলাইনের কেনাকাটায় আগ্রহ বেশি এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তরুণ প্রজন্ম তো বটেই এখন শখ করে বয়স্করাও অনলাইনে অর্ডার করেন। এটা ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির সংবাদ।
জয়পুরী বুটিক কালেকশনের বিক্রেতা হৃদয় আহমেদ বলেন, ঈদ ঘিরে আমাদের বিক্রি আগের থেকে অনেক ভালো হয়েছে। প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি হয়েছে।
ঈদ যত নিকটে আসবে আমাদের বিক্রি তত কমবে। কারণ আমরা যেহেতেু রেডিমেড পোশাক বিক্রি করিনা সেহেতু ঈদের কাছাকাছি সময়ে চাহিদা কিছুটা কমে।
এবার রমজান মাস ২৯ দিন হলে ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১০ এপ্রিল, আর রমজান ৩০ দিনের হলে ঈদ হবে ১১ এপ্রিল।