কেজিতে ৪ হাজার টাকা বেড়েছে দার্জিলিং চায়ের দাম
টুইট ডেস্ক : চা-প্রেমীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে সুগন্ধযুক্ত দার্জিলিং ফার্স্ট ফ্লাশ টি। এবার দার্জিলিংয়ের এই চায়ের বাজার ঊর্ধ্বমুখী।
একদিকে শুষ্ক আবহাওয়া, অন্যদিকে এক সপ্তাহ ধরে ভারী বৃষ্টির কারণে মার্চে এই চায়ের উৎপাদন কম হয়েছে। যে কারণে এক কেজি প্রিমিয়াম জাতের ফার্স্ট ফ্লাশ চায়ের দাম উঠেছে ৩১ হাজার টাকা। যা গতবছরের চেয়ে কেজিতে ৪ হাজার টাকা বেশি।
শীর্ষস্থানীয় দার্জিলিং চা কোম্পানি গোল্ডেন টিপস। কোম্পানিটি রেকর্ড দামে গুডরিক গ্রুপের বাদামতাম চা এস্টেট থেকে নতুন মৌসুমের চা সংগ্রহ করেছে। গোল্ডেন টিপস প্রতি কেজি জৈব সাদা চা ৩১ হাজার টাকায় সংগ্রহ করেছে।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এস্টেট থেকে কয়েকদিন আগে ফার্স্ট ফ্লাশ চা তোলা হয়ে। রোদ, আর্দ্রতা, মাটির গুণাগুণ এবং বাতাসের একটি বিশেষ সংমিশ্রণ এই অঞ্চলের চা-কে বিশেষ করে তোলে। বিশেষ প্রশিক্ষিত শ্রমিকরা সাবধানে সেই পাতা ছিঁড়ে নিয়ে বাঁশের ঝুড়িতে বাগানের কারখানায় নিয়ে যান। দামি এই চাগুলো মূলত ইউরোপ এবং জাপানের বাজারে রপ্তানি করা হয়।
গোল্ডেন টিপসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাধব সারদা বলেন, আমরা গত কয়েক দশক ধরে বাগান থেকে উচ্চমানের চা সংগ্রহ করেছি। আমরা আবারও বাদামতাম চা বাগান থেকে স্প্রিং টি সংগ্রহ করতে পেরে আনন্দিত। সারা বিশ্বের চা-প্রেমীদের বিশ্বমানের চা সরবরাহ করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
দার্জিলিংয়ের চা বাগানগুলো এখন বছরে ৬.৫-৬.৮ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন করে। এর মধ্যে ২০ শতাংশই ফার্স্ট ফ্লাশ টি। বাকি ৮০ শতাংশ চায়ের মধ্যে ২০ শতাংশে রয়েছে সেকেন্ড ফ্লাশ টি এবং ৬০ শতাংশ রেইন টি নামে পরিচিত।