ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাসের শীর্ষ সামরিক নেতা নিহত

টুইট ডেস্ক : ইসরায়েলি বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নেতা মারওয়ান ইসা মারা গেছেন। তিনি হামাসের সামরিক শাখা আল কাসাম ব্রিগেডের উপসামরিক কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।

গাজা যুদ্ধ শুরুর পর নিহতদের মধ্যে তিনিই হামাসের সবচেয়ে সিনিয়র নেতা। সোমবার (১৮ মার্চ) হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর বিবিসির।

বিভিন্ন সূত্রের বরাতে ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গত সপ্তাহে মধ্য গাজার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের নিচের একটি টানেলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় মারওয়ান ইসা নিহত হন।

প্রথমে ইসরায়েল ও এখন যুক্তরাষ্ট্র মারওয়ান ইসার মৃত্যুর দাবি করলেও গাজার শাসক হামাস আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

অনেক আগে থেকেই ইসরায়েলের মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তিদের তালিকায় মারওয়ান ইসার নাম ছিল। এই হামাস নেতাকে সন্ত্রাসীদের কালো তালিকায় যোগ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

এমনকি গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে নজিরবিহীন হামলার জন্য তাকে দায়ী করে ২৭ দেশের এই জোটটি। হামাসের এই হামলায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছিলেন।

এই হামলার জবাবে গাজায় যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৩১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।

প্রথম ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদার সময় পাঁচ বছরের জন্য ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ছিলেন মারওয়ান ইসা। এরপর ১৯৯৭ সালে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে। ২০০০ সালে দ্বিতীয় ইন্তিফাদা শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি কারাগারে ছিলেন।

গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর হামাসের অনেক সিনিয়র নেতাকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। হামাসের রাজনৈতিক নেতা সালেহ আল আরৌরি বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠ দাহিয়েহতে বিস্ফোরণে মারা গেছেন। ওই হামলার জন্য ইসরায়েলকে ব্যাপকভাবে দায়ী করা হয়।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুলিভান বলেছেন, হামাসের অন্যান্য নেতারা গাজায় সম্ভবত টানেল নেটওয়ার্কের গভীরে লুকিয়ে আছেন। হামাসের এসব শীর্ষ নেতাদের ধরতে ইসরায়েলি অভিযানে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র।