যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেও রাফায় অভিযানের অনুমতি ইসরায়েলের

টুইট ডেস্ক : গাজায় উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর রাফায় সেনা অভিযান চালানোর অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য।

এদিকে একই দিন নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে গাজায় চলমান যুদ্ধের অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারের উদ্দেশে একটি বার্তাও পাঠানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে- যদি গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত নতুন কোনো প্রস্তাব আনা হয়, তাহলে তা পর্যালোচনা ও বিবেচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ইসরায়েল। এ লক্ষ্যে ইসরায়েল থেকে শিগগিরই একটি প্রতিনিধি দল কাতারে যাবে।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত নতুন একটি প্রস্তাব এনেছিল উপত্যাকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস, তবে ‘বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন’ উল্লেখ করে শুক্রবার তা খারিজ করে দিয়েছে ইসরায়েল।

রাফাহ মিসরের সীমান্তবর্তী শহর। প্রায় ছয় মাস আগে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর সীমান্ত পেরিয়ে মিসরে যাওয়ার জন্য উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাফায় আসতে শুরু করেন ফিলিস্তিনিরা।

মিসর যদিও সীমান্ত খোলে নি, কিন্তু এখনও শহরটিতে রয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গাজায় বসবাসকারী ২৩ লাখ ফিলিস্তিনির অর্ধেকই বর্তমানে অবস্থান করছেন রাফায়।

গত ফেব্রুয়ারি থেকেই রাফায় অভিযান শুরু করতে চাইছিল ইসরায়েল। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক আপত্তির কারণে তা সম্ভব হয়নি।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আপত্তির প্রধান কারণ ছিল রাফার বর্তমান জনঘনত্ব। ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান শুরু করলে সেখানে বিপুল সংখ্যক বেসামরিক হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে।

অন্যদিকে ইসরায়েলের বক্তব্য- হামাসের সর্বশেষ শক্তিশালী ঘাঁটিটি অবস্থিত রাফায় এবং সেখানে অভিযান চলানো না হলে হামাসকে নির্মূলে ইসরায়েলি বাহিনীর যে অভিযান চলছে, তা ব্যর্থ হবে।

তবে রাফায় অভিযানের অনুমোদন দিলেও কবে থেকে তা শুরু হবে- সে সম্পর্কে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের একটি সূত্র।