মার্কিন-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব ডেস্ক: উত্তর কোরিয়া ও মার্কিন সামরিক বাহিনী যৌথ সামরিক মহড়া চালাচ্ছে। বড় ধরনের বার্ষিক সামরিক মহড়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। সোমবার (৪ মার্চ) থেকে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকির বিরুদ্ধে প্রস্তুতি জোরদার করতেই যৌথ এই মহড়া শুরু করেছে তারা। খবর রয়টার্সের।

এর শুরু হয়েছে পরস্পরের প্রতি হুমকি এবং চুক্তি ভঙ্গের পরে। সোমবার (৪ মার্চ), উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি বিরুদ্ধে তাদের প্রস্তুতির জন্য চালু হয়েছে এই মহড়া।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই মহড়া পরিচালনা হবে ‘ফ্রিডম শিল্ড’ অনুশীলন নামে এবং প্রশিক্ষণ চলবে টানা ১৪ মার্চ পর্যন্ত।

এই সময়ে তাদের মহড়া প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ‘কম্পিউটার-সিমুলেটেড কমান্ড পোস্ট’ এ এবং এতে অভিজ্ঞতা, দায়িত্বের প্রতি অঙ্গীকার এবং নেতৃত্বের গুণাবলী পরীক্ষা হবে।

এই মহড়া চালাচ্ছে প্রথমবার একসাথে হুমকি দেওয়ার পর তাদের। পুর্বে, উত্তর কোরিয়া এবং মার্কিন সামরিক বাহিনী একসাথে মহড়া চালাচ্ছে এই ধরনের হুমকির পর।

যৌথ এই মহড়ার তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি উত্তর কোরিয়া। তবে এ ধরনের যৌথ মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় এর আগে উস্কানিমূলক অস্ত্র পরীক্ষা করেছে দেশটি।

দক্ষিণ কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রকে আরও আক্রমণাত্মক সামরিক বাহিনী মোতায়েন করবে। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রকে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

উত্তর কোরিয়া এবং মার্কিন বাহিনী তাদের সামরিক শক্তি প্রদর্শনের সাথে এই মহড়া চালাচ্ছে, যা আগের চুক্তি ভঙ্গের পর হোচট বাড়িয়েছে।

উত্তর কোরিয়া বলেছে, এই মহড়া চালাচ্ছে মার্কিন বাহিনীর প্রতি হুমকির প্রতিসাদে এবং উত্তর কোরিয়ার স্বার্থে একটি ‘সম্মানজনক প্রতিক্রিয়া’।

নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও এপ্রিলে দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগে, উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড উদ্বেগ বাড়িয়েছে। তবে কোরীয় উপদ্বীপ বা এই অঞ্চলে তার আক্রমণের সম্ভবনা কম। কারণ উত্তর জানে তার সামরিক বাহিনী এখনও মার্কিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার বাহিনীর তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

পিয়ংইয়ং ২০১৮ সালের নভেম্বরে আন্ত-কোরিয়ান সামরিক চুক্তি বাতিল করার পর এই প্রথম যৌথ মহড়া শুরু করল।

গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানান, এই বসন্তে মার্কিন বাহিনীর সাথে ৪৮টি মাঠ পর্যায়ের মহড়া পরিচালনা করবে তারা, যা গত বছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। এই মহড়ার মধ্যে গুলি, বোমাবর্ষণ, ক্ষেপণান্ত্র ও বিমান হামলাও অন্তর্ভুক্ত।