চট্টগ্রামে লইট্যাঘোনায় পাহাড় কাটা হচ্ছে, পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন
টুইট ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরের শাপলা আবাসিক এলাকার লইট্যাঘোনায় পাহাড় কাটা হচ্ছে রীতিমতো আয়োজন করে। সূত্র মতে, এক মাস ধরে পাম্পের সাহায্যে পানি ছিটিয়ে নরম করে তারপর কাটা হচ্ছে পাহাড়। ৭০ ফুট পর্যন্ত কাটা হয়ে গেছে এবং স্থানীয় লোকজনের কাছে খবর পেয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ও পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে যান।
তাদের প্রতিনিধিগণ দেখেছে, পাহাড়ের মাঝখানে গর্ত করা হয়েছে এবং সেখানে পাম্প দিয়ে পানি তুলে রাখা হয়েছে এবং পানির হাউসও আছে। এই ঘটনায় বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই এবং চট্টগ্রামের পরিবেশ ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দাড়িয়েছে।
গত বছর চট্টগ্রামের ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণাকেন্দ্র এবং বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম জানায়, চট্টগ্রাম মহানগরীতে চার দশকে ১২০টি পাহাড় বিলুপ্ত হয়েছে। ৪০ বছর আগে পাহাড় ছিল ২০০টি, যার ৬০ শতাংশের খোঁজ নেই। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ১৫টি পাহাড় কেটে ফৌজদারহাট-বায়েজিদ বাইপাস সড়ক নির্মাণ করেছে। সংগঠন দুটি জানায়, ১২ বছরে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে এবং এই ক্ষেত্রে বড় অংশে রাজনৈতিক নেতা, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় প্রভাবশালীদের জড়িত রয়েছে।
চট্টগ্রামে পরিবেশ বিপর্যয় সংক্রান্ত সুরক্ষা আইন অনুযায়ী, ১৯৫২ সালের ইমারত নির্মাণ আইন এবং ২০১২ সালের ১৯ মার্চের আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পাহাড় কাটা এবং পরিবেশ রক্ষা করা জন্য জোর নির্দেশ রয়েছে। নতুন করে আদালত ৩১ জানুয়ারি পুনরাবৃত্তি করেছেন চট্টগ্রামে পাহাড় কাটা কন্ধের জন্য।
পরিস্থিতি উন্নত করার দিকে গুরুত্বপূর্ণ হতে হবে এবং সকল প্রভাবশালী ও আমলকর্তা, সংস্থাতে সহযোগিতা করতে হবে যাতে চট্টগ্রামের পরিবেশ বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। পাহাড় কাটার ঘটনায় তিনজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা হয়েছে।