বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শোক

টুইট ডেস্ক: ঢাকার বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সকালে আলাদা বিবৃতিতে নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি তারা সমবেদনা জানান।

বাসস জানিয়েছে, রাষ্ট্রপ্রধান মো. সাহাবুদ্দিন এক শোকবার্তায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। রাষ্ট্রপতি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনাও জানান।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, “অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আগুনে পুড়ে মৃত্যুবরণকারীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন। তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে আগুন লাগে। ভবনটিতে কাচ্চি ভাই, ইলিয়েনসহ বেশ কয়েকটি দোকান ছিল। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিভিয়ে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। এরপরই আসতে থেকে একের পর এক মৃত্যুর খবর। ভয়াবহ সেই ঘটনায় সবশেষ শুক্রবার সকালে ৪৬ জনের মৃত্যুর তথ্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।

এদিন সকাল ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সাড়ে ১০টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা সেবা পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

পরে বার্ন ইউনিটের সামনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, গতকাল রাতে বেইলি রোডে অত্যন্ত মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আমাদের বার্ন ইউনিটে ১০টি ডেড বডি এবং ঢাকা মেডিকেলে ৩৫টি আসে। আজকে সকালে ঢাকা মেডিকেলে আইসিউতে আরো একজনের মৃত্য হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪৬ জন আমাদের জানা মতে মারা গেছেন।

আহতের সংখ্যা নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের বার্ন ইউনিটে ১০ জন ভর্তি আছে। ঢাকা মেডিকেলে আছে দুইজন। মোট ১২ জন। আমাদের এখানে যারা আছে সবাই দগ্ধ এবং তাদের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। কেউ শঙ্কামুক্ত নয়।

নিহতদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩৫ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের কথা জানিয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম হেদায়েতুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ৩৯ জনের লাশ শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ৩৫ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ছয়টি লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। বেশ কিছু হতাহতের পরিবার এসেছে। তারা দেখছেন। আশা করি আরো কিছু লাশ শনাক্ত হবে।