ঢাকার বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড: একই পরিবারের ৫ জনসহ ৪৫ জনের মৃত্যু

রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের পর আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা : ছবি সংগৃহীত

টু্ইট ডেস্ক: রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনে প্রাণ হারানোর ঘটনায় অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৫জনসহ ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন, এদের মধ্যে ১৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা মো. শাহজাহান শিকদার বাসসকে জানান, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে প্রথমে চার ইউনিট, পরে আরও ৯টি ইউনিট পাঠানো হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সাহায্য করতে যোগ দেন পুলিশ, আনসার, র‌্যাব ও বিজিবির সদস্যরা।

ফায়ার সার্ভিস রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার খবর নিশ্চিত করে। এরপর শুরু হয় ভবনে আটকে পড়াদের উদ্ধার কাজ।

‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর ওই ভবনটি সাত তলা। উপরের তলাগুলোতে রেস্তোরাঁ এবং তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছিল।

ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম স্থানীয় জানান, আগুন লাগার পর থেকে রাত সোয়া ১২টা পর্যন্ত ওই ভবন থেকে মোট ৬৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন (৩১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, বহুতল ভবনের আগুনে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন।

তিনি জানান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে মারা গেছেন ৩৩ জন, ও শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিউটে মারা গেছেন আরও ১০ জন। তবে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৫জন।

সামন্ত লাল সেন যোগ করেন যে, আহত ২২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এরপর রাত আড়াইটার দিকে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, পুলিশ হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে, সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪।

কীভাবে আগুন লেগেছে সে বিষয়ে র‌্যাব তিনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান রাত আড়াইটার দিকে সাংবাদিকদের বলেন, ওই ভবনের নিচতলায় একটি কফির দোকান ছিল। সেখানে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের ঘটনা ঘটেছে বলে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পেরেছেন।

রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে আগুনে নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর শুরু হয়েছে। ভোর ৫টা ৪১ মিনিটে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত দুইটার পর থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসন লাশ হস্তান্তরের জন্য নিহতদের স্বজনদের তথ্য চান। তথ্য সংগ্রহ সাপেক্ষে মরদেহ শনাক্তের পর লাশ হস্তান্তর শুরু হয়।

রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে আগুনে নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর শুরু হয়েছে। ভোর ৫টা ৪১ মিনিটে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়।

তবে আগুনের ঘটনায় শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫। এর মধ্যে একই পরিবারের ৫জন রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র হতে জানা যায়। ইতিমধ্যে ৩৮ জনের পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে এবং ২৯ টি মৃত দেহ পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার ৩১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত দুইটার পর থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসন লাশ হস্তান্তরের জন্য নিহতদের স্বজনদের তথ্য চান। তথ্য সংগ্রহ সাপেক্ষে মরদেহ শনাক্তের পর লাশ হস্তান্তর শুরু হয়।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনের ঘটনায় অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।