যেভাবে ধরা হলো প্রাণঘাতি সেই হাতিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর তানোরের আটক করা হয়েছে দুইজনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া সেই হাতিটিকে। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে ঢাকা থেকে আসা উদ্ধারকারী দল চেতনানাশক ট্রাংকুলাইজার ব্যবহার করে হাতিটিকে অচেতন করে আটক করা হয়।

এর আগে বেলা একটার দিকে চেতনানাশক ট্রাংকুলাইজার ব্যবহার করে প্রথমে আটক করা হয়। এর পর হাতিটি শিকল ছিঁড়ে ছুটে যায় যায়। দুই ঘন্টা পর দ্বিতীয় দফায় চেতনানাশক দিয়ে আবার আটক করা হয় হাতিটিকে। হাতিটিকে তার মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে, হাতিটির আক্রমণে দুইজনের মৃত্যু হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হাতিটিকে ধরার পর নির্বিচার ঢিল ছুড়তে থাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ তিনজনকে আটক করে। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

বুধবার হাতিটির পায়ের চাপায় পিষ্টে ও আঁচড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের লক্ষ্মীপুর গ্রামের কিশোর মোবাশ্বির (১৩) মারা যায়। পরে হাতিটি পালিয়ে রাজশাহীর তানোরে চলে যায়। সেখানে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে রামাপদ মুন্ডা (৪৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়। রামাপদ উপজেলার জুমারপাড়া গ্রামের ললিত মুন্ডার ছেলে।

রাজশাহী বন বিভাগের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্য প্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, হাতিটি তারা ধরতে পেরেছেন। তবে প্রথমে ধারার ২০ মিনিট পর হাতিটি শিকল ছিঁড়ে ছুটে চলে যায়। এর প্রায় দুই ঘণ্টা পর চেতনানাশক ট্রাংকুলাইজার ব্যবহার করে হাতিটিকে আবার অচেতন করা হয়।

তিনি বলেন, আটকের পর হাজার হাজার মানুষ হাতিটিকে ঘিরে ধরে মারতে আসেন। তারা হাতিকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে থাকেন। এ অবস্থায় হাতিটি ফের ছুটে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিনজনকে আটক করে।

তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিল্লাল হোসেন বলেন, আটক তিনজনকে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হাতিটির মালিকের বাড়ি বগুড়ার মহাস্থানগড় এলাকায়। মালিকের পক্ষে সাকিল হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে হাতিটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।