প্লাস্টিক ও পলিথিনের দূষণ: বাংলাদেশের সত্যকথন
এম বি আলম : বাংলাদেশে প্লাস্টিক দূষণের সমস্যা এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশে তিন হাজার কারখানায় দিনে ১ কোটি ৪০ লাখ পলিথিন ব্যাগ উৎপাদিত হচ্ছে, যা নদ-নদীতে চলে আসে এবং মাটি ও পানিকে দূষণ করে থাকে। প্লাস্টিক দূষণ বিষাক্ত রাসায়নিকের সাথে মিলে মানুষের স্বাস্থ্য প্রভাবিত করছে, উচ্চ রক্তচাপ থেকে শুরু হয়ে ক্যানসারের মতো রোগ ছড়াচ্ছে। দেশে পলিথিন ব্যগের উৎপাদন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা আছে, তবু প্লাস্টিক ব্যবহার কমানো হয়নি। এ সমস্যা সমাধানে শিক্ষা প্রতিরক্ষা ও সচেতনতা প্রতিরক্ষা দুটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহারের অত্যাধুনিক সমস্যা হয়ে উঠছে। দেশের চার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রকল্পে একটি গবেষণা চলানো হয়েছে, যেখানে বের করা হয়েছে এই সমস্যার প্রভাব। প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহারের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এখন প্রাকৃতিক পরিবেশে ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে।
প্রতিদিন দেশে হাজার কারখানায় কোটি লাখ পলিথিন ব্যাগ উৎপাদিত হচ্ছে, যা দেশের নদ-নদীতে প্রচুর দূষণ তৈরি করছে। এই প্লাস্টিক দূষণের প্রভাবে মানুষের স্বাস্থ্যও ভুগছে। প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহারের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং প্রযুক্তির প্রতি সঠিক দিক দেখানো জরুরি হয়েছে, যাতে দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে।
বাংলাদেশের প্রধান নদীর জলে রয়েছে এক ভয়ানক প্রহার- প্লাস্টিক ও পলিথিনের দূষণ। দেশে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রকল্পের ফলাফল দেখা গেছে, প্লাস্টিক ও পলিথিন নিষিদ্ধ হওয়া পরও দেশের ৮০% মানুষ প্রতিদিন এই দুটি প্রকৃতির বিপদগ্রস্ত বস্ত্র ব্যবহার করছে।
দিনে ১ কোটি ৪০ লাখ পলিথিন ব্যাগ উৎপাদিত হওয়ার কারণে, এসব ব্যাগ নদ-নদীতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এই প্লাস্টিক ও পলিথিন নদীগুলির মাছ ধ্বংস করছে এবং শরীরে ঢুকে দ্রুত প্রভাব ফেলছে। এই দুটি কারণেই দেশের মাটি ও নদী শত্রুর মতো প্লাস্টিক দূষণে প্রভাবিত হচ্ছে, যার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে।
প্লাস্টিক এবং পলিথিনের জীবনে আন্তর্ভুক্ত বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য আমাদের খাদ্যচক্রে প্রবেশ করে আমাদের শরীরে বিপদ সৃষ্টি করছে। উচ্চ রক্তচাপ থেকে লেকেমিয়া, প্রস্তত্তান্ত্রিক সমস্যা- এই সব অসুস্থ অবস্থা আমাদের কাছে আনা যাচ্ছে প্লাস্টিক ও পলিথিনের দূষণের ফলে।
বাংলাদেশের প্রধান নদীগুলি পদ্মা, মেঘনা, ও যমুনা প্লাস্টিক ও পলিথিন দ্বারা অববাহিকা হয়ে যাচ্ছে, যা সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের গবেষণা প্রকল্প দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্লাস্টিক এবং পলিথিনের দূষণের এই বৃদ্ধি দেশের মানুষের জীবনকে ভয়াবহ প্রভাবিত করছে, যা পরবর্তীতে দেশের মাটি ও নদীর জীবনে অনেক কঠিনতম সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
প্লাস্টিক ও পলিথিনের দূষণের প্রভাব কমাতে হলে, প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। আমরা বেশি সচেতন হওয়া এবং প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহারে সদয় আচরণ করা জরুরি। এই পথে চলার মাধ্যমে আমরা দেশের প্রাকৃতিক সাধারণ জীবনও রক্ষা করতে পারব।