মিয়ানমারে সংঘাত: নাইক্ষ্যংছড়ি জাংছড়ি সীমান্তে আতঙ্কে ছোটাছুটি

আর্টিলারি বোমা বিস্ফোরণ ও প্রচণ্ড গুলাগুলির শব্দে কেঁপেছে জাংছড়ি সীমান্ত। ছবি : ইত্তেফাক

টুইট ডেস্ক: মিয়ানমারের ওপারে সীমান্তে সংঘাতের শব্দে কাঁপলো জাংছড়ি। রোববার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের জাংছড়ি সীমান্তে একের পর এক মর্টারশেল এবং আর্টিলারি বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে, শনিবার রাতে এবং রবিবার সকালেই গুলির শব্দ শোনা গেছে।

এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ছোটাছুটি করছেন। সোমবারও (২৬ ফেব্রুয়ারি) থেমে থেমে গুলির শব্দ পাওয়া গেছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের সংবাদকর্মী সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের ওপারে সীমান্তে সংঘটিত গোলাগুলিতে এপারে কেঁপে উঠেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ছাবের আহমেদের অনুসারে, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড জাংছড়ি সীমান্তের ৪৬ ও ৪৭ পিলার পুরান মাইজ্জা ক্যাম্প, অংচাফ্রী ক্যাম্প ও সালি ডং ক্যাম্পের ওপারের মিয়ানমার অভ্যন্তরে অগণিত মর্টার ও আর্টিলারি বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবছার বলেন, ওপারে গুলাগুলি ও আর্টিলারি মর্টারশেল বিস্ফোরণের আওয়াজে এপারের গ্রামের অনেক ঘরবাড়ি কেঁপে উঠেছে। এতঙ্কে এলাকাবাসী ছোটাছুটি করছেন।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া না গেলেও বিজিবিকে সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে।

এদিকে বন্ধ হয়ে যাওয়া সাতটি স্কুল এখনো খোলেনি। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের কারণে ২৩ দিন বন্ধ থাকার পর ঘুমধুম সীমান্তের পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। তবে ঘুমধুমে ‘পরিস্থিতি পুরো স্বাভাবিক হওয়ায়’ স্কুলগুলো আগামী বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু হবে বলে জানিয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা।

এর আগে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ২৯ জানুয়ারি সীমান্ত এলাকার কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া হয়। তবে ৩০ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খোলা থাকলেও ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।

সুরক্ষা ও অতিরিক্ত সমর্থন নিশ্চিত করা উচিত অবশ্যই। সম্প্রতি এলাকার মানুষদের জন্য আক্রমণকারী ঘটনা বেশ স্বাভাবিকভাবে চিন্তা ও আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠছে। এ ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টির মধ্যে সামাজিক সহানুভূতি ও সহায়তাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।