তফসিল ঘোষণা করতে সম্মতি রাষ্ট্রপতির : সিইসি
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। সে জন্য দ্রুতই তফসিল ঘোষণা করা হবে। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা বলেন তিনি।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচনের সকল প্রস্তুতির কথা রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি। তিনি সব শুনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এখন আমরা কমিশনে বসে চূড়ান্ত তালিকা ঠিক করে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করব।’
সিইসি বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় ২৯ জানুয়ারিরর আগেই নির্বাচন করা হবে।
রেওয়াজ অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে দেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং চার নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর এবং মো. আনিছুর রহমান বঙ্গভবনে যান। এরপরই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তারা বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
সিইসি রাষ্ট্রপতিকে জানান, সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছে। নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাহী বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, নির্বাচন হচ্ছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণের মতামত প্রতিফলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেন এবং প্রতিনিধির মাধ্যমেই জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হলে দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। এ সময় নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সাংবিধানিক রীতিনীতি ও বিধিবিধান অনুসরণ করে কমিশনকে সাহসিকতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি আশা করেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সরকার নির্বাচন কমিশনক সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার এবং রাষ্ট্রপতির সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
শোনা যাচ্ছে, ১৪ অথবা ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে বা জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরইমধ্যে ১ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে বৈঠক করেছে কমিশন।
রাষ্ট্রপতির অনুমতি পেলে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন সিইসি। সিইসি’র ভাষণও প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই ভাষণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ৩০ জানুয়ারি। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বিধান অনুযায়ী এর আগে ৯০ দিনের মধ্যে ভোট হতে হবে। সেই হিসাবে গত ১ নভেম্বর নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেছে। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।