চট্টগ্রাম মহানগর সাংবাদিক সংস্থার অভিষেক অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: সাংবাদিকদের সংগঠন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির অভিষেক ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠা শুক্রবার চট্টগ্রাম চৌমুহনী রাজপ্রাসাদ কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের মহানগর কমিটির সভাপতি সাংবাদিক কে এম রুবেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাছিম ।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাছিম ।

দিলরুবা খানমের উপস্থাপনায় অভিষেক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নির্বাহী কমিটির সভাপতি শাহজাহান মোল্লা, সাবেক প্রেস কাউন্সিল সদস্য ও দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির সম্পাদক জি এম কিবরিয়া, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার মহাসচিব কামরুল ইসলাম, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি আবুল বাশার মজুমদার, সাংবাদিক সংস্থার চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি খাইরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টুরিষ্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ ।

চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, আইনজীবিদের লিস্ট আছে বার কাউন্সিলে, ডাক্তারদের লিস্ট আছে বিএমডিসিতে, কিন্তু সাংবাদিকদের কোন লিস্ট নেই সেজন্যই ডাটাবেজে।

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেছেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের প্রতি খুব আন্তরিক। আন্তরিক বলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের জন্য সাংবাদিক কল্যান ট্রাস্ট করেছেন ।

প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় গেলে সাংবাদিক কল্যান ট্রাস্ট নিয়ে অনেক অসন্তষ্টির কথা শুনি, কিন্ত ট্রাস্টের দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার ও লোক আছেন এবং ইউনিয়নের ও নেতৃবৃন্দ আছেন। আপনারা তাদেরকে বলবেন এবং মুলজায়গায় গিয়ে বলতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে জেনেছি অনেকেই পুরোপুরি হেল্প পায়না অনেকেই অসুস্থ হয়ে যখন রিলিফ চায় এরপর অনেকের মৃত্যু হয় । যেটা আমরা কামনা করিনা । কল্যান ট্রাস্টের যে ফরম আছে তা নিখুত ভাবে পুরন করে আপনেরা কল্যান ট্রাস্টের অফিসে জমা দিবেন অবশ্যই আপনেরা সহযোগীতা পাবেন ।

প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বড় আবিষ্কার হলো সাংবাদিক কল্যান ট্রাস্ট। এই ট্রাস্ট যদি সাংবাদিকদের যদি এটা কাজেই না লাগে তাহলে এটা অর্থহীন হয়ে যাবে। আমরা চাই এটা কাজে লাগুক, গরীব ও অসুস্থ সাংবাদিকরা সহযোগীতা এবং উপকার পাক । সাংবাদিক সমাজ বিপদে পড়লে যেন আশ্রয় পায় বিপদ থেকে বের হতে পারে।

ডাটা বেজ নিয়ে প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, যারা ঢাকার সাংবাদিক তারা ফরমটা সম্পাদকের দস্তখত নিয়ে প্রেস কাউন্সিলে জমা দিতে হবে । যারা মফস্বল সাংবাদিকতা করেন তারা ফরমটা পুরন করে সম্পাদকের দস্তখত নিয়ে জমা দিবেন ডিসি অফিসে। যেহেতু ডিসির প্রচুর কাজ রয়েছে সেহেতু তথ্য কর্মকর্তা এটা যাচাই বাছাই করে ডিসির মাধ্যমে কয়টা পত্রিকা আছে সবকিছু জেনে তারপর প্রেসকাউন্সিলে পাঠাবেন।

প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান আরো বলেন, এই পর্যন্ত যে ফরম পেয়েছি তা কিন্ত আমরা ভালোভাবে পাইনি বেশীর ভাগ অসম্পুর্ন। যার কারনে আমরা অনেক ফর্ম গ্রহন করতে পারিনি। যে পত্রিকায় কাজ করেন সে পত্রিকার মাধ্যমে ডাটা বেইজে ফরম পুরন করে আসতে হবে ।

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের জন্য ডাটাবেইজ করা হচ্ছে সাংবাদিকদের সরকারী লিষ্টের ভিতরে নিয়ে আসার জন্য । ডাটাবেইজ কেন করা হচ্ছে প্রসঙ্গে বলেন বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেন আইনজীবিদের লিস্ট আছে, বার কাউন্সিলে, ডাক্তারদের লিস্ট আছে বিএমডিসিতে কিন্ত সাংবাদিকদের কোন লিস্ট নেই। এটা হওয়া দরকার বলে মনে করেন দেশের স্বার্থে, সাংবাদিকদের স্বার্থে ।

বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ সভাপতি মাওলানা ইউসুফ, সহ সভাপতি, জিন্নাত আলী, মোহাম্মদ হাসান, জাফরুল ইসলাম জাহিদ, যুগ্ম সম্পাদক ফোরকান সিকদার, জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ হাসান, মাহবুবুল আলম, অর্থ সম্পাদক শেখ আহমেদ শাকিল, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন, জালাল উদ্দীন মহানগর কমিটির সদস্য রতন বড়ুয়া, মিলন বৈদ্য শুভ, সঞ্জয় বড়ুয়া সহ জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নেতৃবৃন্দ।

পরে সাংবাদিকতায় অবদান রাখায় বেশকজন সাংবাদিককে স্মারক সম্মাননা প্রদান ও এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় ।