সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যুক্তরাজ্যে সম্পত্তির খবর: ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত

টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এখন যুক্তরাজ্যে বিশাল অংকের সম্পত্তির মালিক। তার মালিকানাধীন প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি তৈরি করেছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় আসে ২ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা। গত রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এই তথ্যটি ব্লুমবার্গের রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে।

বিশেষ রিপোর্টে জানা যায়, লন্ডনের উত্তর-পশ্চিম এলাকায় একটি প্রপার্টি এখন হয়েছে ১৩ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশিরভাগ মূল্যের। এই বিলাসবহুল প্রপার্টি রিজেন্টস পার্ক ও লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড এর কাছে অবস্থিত, এবং এর মালিক হলেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এটি লন্ডনের সবচেয়ে ধনী এলাকা হিসেবে পরিচিত।

বাংলাদেশের মুদ্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পর্কে বিশেষ মন্তব্য করতে পারেননি। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে বসবাস করার সময় বিদেশে সম্পত্তি জমা করার কোন বিধান নেই এবং এটি একটি সাধারণ নিয়ম। এই নিয়মের মধ্যে কোনো নাগরিক, বাসিন্দা এবং সরকারি কর্মচারী বছরে ১২ হাজার ডলারের বেশি দেশের বাইরে পাঠাতে পারেননি।

এই রিপোর্টে আরও জানা যায়, সাইফুজ্জামান চৌধুরী একেবারে প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি প্রোপার্টি বৃটেনে তৈরি করেছেন। এসব প্রপার্টির মধ্যে আছে লন্ডনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকার কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্ট এবং লিভারপুলে কিছু ছাত্রাবাস।

নিউইয়র্কের সদর দপ্তর থাকা আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ এই রিপোর্টে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর প্রপার্টি তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছে এবং জানা গিয়েছে যে এই সম্পত্তি ক্রয় হওয়ার সময় যুক্তরাজ্যে আবাসন সংকট ছিল এবং এর ৯০ ভাগ নতুন বাড়ি নির্মাণ করতে হয়েছিল। এই লেনদেনগুলি সম্পত্তি নিতে যখন সরকার বিদেশি সম্পত্তির মালিকানাকে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

এই বিষয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বা তার স্ত্রী কোনো জবাব দেননি। ব্লুমবার্গ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, যাদের মধ্যে কিছু সংগস্থা জানায়, এক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে, কিন্তু বাণিজ্যিক গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিস্তারিত মন্তব্য দেয়নি।

সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ক্ষেত্রে তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক আরও শক্তিশালী হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বৃটেনের প্রোপার্টি ব্যবসার সঙ্গে যুক্তরা। তবে ক্রেতাদের শনাক্ত করা বেশ কঠিন। প্রোপার্টিমার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাথান এমারসন বলেছেন, কেউ যদি এরইমধ্যে ‘পলিটিক্যালি এক্সপোজড’ হন, তাহলে তাদের সঙ্গে সতর্ক হতে হবে।

ক্রেতাদের ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে সবসময় তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হওয়া যায় না। এই প্রকার সম্পত্তি কেনার সময় যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, সেটি স্থানীয় নীতি এবং আইন মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ।