ফাল্গুনে প্রথম দিন, ভালোবাসা দিবস, মেট্রোরেলে ফুল নিয়ে ভ্রমণ নিষেধ

ছবি : সংগৃহীত

‍টুইট ডেস্ক: আজ ফাল্গুনের প্রথম দিন বা ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। আজ পয়লা ফাল্গুন। অপরদিকে ভালোবাসা দিবস বা সেন্ট ভ্যালেন্টাইন দিবস।

ভালোবাসা দিবসে প্রেমিক-প্রেমিকাদের হাতে হাতে ফুল থাকবে-এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এতে বাধ সেজেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) মেট্রোরেল স্টেশনে ‘ফুল নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ নিষেধ’ লেখা একটি নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

‘‘বসন্ত উৎসব”

১৪০১ সাল থেকে বাংলাদেশে ১ম ‘‘বসন্ত উৎসব” উদ্‌যাপন করার রীতি চালু হয়। সেই থেকে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদ্‌যাপন পরিষদ বসন্ত উৎসব নিয়মিত আয়োজন করে । বাংলার এই অঞ্চলে, প্রাচীন আমল থেকেই বসন্ত উৎসব পালিত হচ্ছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে বিশেষ নৃত্যগীতের মাধ্যমে বসন্তোৎসব পালনের রীতি চলে আসছে।

“ভালোবাসা দিবস’’

দু-জন খ্রিষ্টান শহিদকে সম্মান জানাতে খ্রিষ্টধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়ে আসছিল, পরবর্তীতে লোক ঐতিহ্যের ছোঁয়ার মধ্যে দিয়ে এটি বিভিন্ন দেশে আস্তে আস্তে প্রেম ও ভালোবাসার সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও বাণিজ্যিক একটি আনুষ্ঠানিক দিবসে পরিণত হয়।

বাংলাদেশে সর্বপ্রথম শফিক রহমান ১৯৯৩ সালে প্রথম বার ভালোবাসা দিবস পালন করেন এবং তখন থেকেই দিনটি বাংলাদেশে একটি বিশেষ ও উল্লেখযোগ্য দিন হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে।

যায়যায়দিন পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে তিনি এই দিনটির মাধ্যমে বিভিন্ন সম্পর্কের মানুষদের মধ্যে প্রেম এবং ভালোবাসা বোঝাতে তোলার চেষ্টা করেন।

এই দিনে বাংলাদেশের বিভিন্ন পার্ক এবং বিনোদন কেন্দ্রসমুহ ভালোবাসা দিবসের উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করে, যেখানে মানুষরা এসে একে অপরের সাথে সময় কাটানোর উপযোগী মাধ্যম পায়। এই আয়োজনে ফুল, চকলেট, কার্ড এবং অন্যান্য উপহার দেওয়া হয় এবং ভালোবাসা এবং আত্মীয়তা প্রকাশ করার একটি আদর্শ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন দিবস আধুনিক সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও ব্যক্তিগত উৎসব হিসেবে পরিণত হয়ে গিয়েছে, যা বিভিন্ন দেশে সাধারণভাবে উদযাপিত হয়।

এই দিনে বাংলাদেশে কোন সাধারণ ছুটি নেই, অর্থাৎ সকল সংস্থা এবং কার্যালয় স্বাভাবিকভাবে চলছে।

সত্যি বলতে, সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন দিবস একটি খ্রিষ্টান উৎসব হিসেবে শুরু হয়েছিল, যা প্রাথমিকভাবে খ্রিষ্টান ধর্মের একজন শহীদ, সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের স্মরণে পালিত হত। তবে, পরবর্তীতে এটি একটি প্রেম ও ভালোবাসার উৎসব হিসেবে পরিণত হয়ে গিয়েছে এবং বিভিন্ন দেশে একটি আনুষ্ঠানিক দিন হিসেবে উদযাপিত হয়।

এই দিনটি বাংলাদেশেও প্রচুর উচ্চারিত হয় । এটি প্রায়ই একটি সামাজিক ও ব্যক্তিগত উৎসব হিসেবে পালিত হয়, যেখানে মানুষেরা তাদের প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটানোর উপযোগী মাধ্যম পেতে চেষ্টা করেন। এই দিনে অনেক মানুষ একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও আদর প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে বিশেষ উপহার কিনে এবং একে অপরের সাথে সময় কাটানোর চেষ্টা করে।

সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন দিবস আধুনিক সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও ব্যক্তিগত উৎসব হিসেবে পরিণত হয়ে গিয়েছে, যা বিভিন্ন দেশে সাধারণভাবে উদযাপিত হয়।