মিয়ানমারে তরুণ নারী-পুরুষের সামরিক সেবা ঘোষণা: কী পরিণতি অপেক্ষা করছে?

মিয়ানমার সেনাবাহিনী। ছবি : সংগৃহীত

বিশ্ব ডেস্ক: মিয়ানমারে চলমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে তরুণ নারী-পুরুষের বাধ্যতামূলক সামরিক সার্ভিসের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জাতিগত মিলিশিয়া ও অভ্যুত্থানবিরোধী যোদ্ধাদের সঙ্গে ধারাবাহিক লড়াইয়ে তারা পরাজিত হয়েছে।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঘোষিত এই পদক্ষেপে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী সব পুরুষ এবং ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সী নারীদের সামরিক কমান্ডের অধীনে কমপক্ষে দুই বছর দায়িত্ব পালন করতে হবে।

বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি। তবে এক বিবৃতিতে জান্তা বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় উপ-আইন, পদ্ধতি, ঘোষণার আদেশ, বিজ্ঞপ্তি এবং নির্দেশাবলী প্রকাশ করা হবে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী একের পর এক অপমানজনক পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে । তার মধ্যে ফ্রেব্রুয়ারি মাস উল্লেখযোগ বলে মনে করেন অনেকে।

গত বছরের শেষের দিকে শান স্টেইটের তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী সেনাবাহিনী, সরকার বিরোধী অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর সমর্থনে চায়নার সঙ্গে বেশিরভাগ সীমান্ত ক্রসিং ও রাস্তা দখল করে।

গত মাসে আরাকান আর্মি (এএ) জানায়, তারা চিন স্টেইটের পালেতওয়া এবং মিওয়া পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত পালেতওয়া টাউনশিপের শেষ সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

মিয়ানমারের সেনা নিয়ন্ত্রিত প্রেসিডেন্ট সাবেক জেনারেল মিন্ট সোয়ে এর আগে সতর্ক করে বলেছিলেন, সরকার যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে দেশটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

২০২১ সালে দেশটির সামরিক জান্তা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল এবং সম্প্রতি তা আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়।

২০১১ সালে গণতন্ত্রের দিকে অগ্রসর হওয়ার আগে মিয়ানমার প্রায় ৫০ বছর অত্যাচারী সামরিক শাসনের অধীনে ছিল।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার ঘোষণা দেয়। তখন থেকেই বিশৃঙ্খলা ও সংঘাত দেশটিকে প্রভাবিত করেছে। এক মিলিয়নেরও বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং হাজার হাজার মিয়ানমারের নাগরিক মারা গেছে।