অজানা আতঙ্কে সীমান্তের বাসিন্দারা

টুইট ডেস্ক: মিয়ানমারে দুই বাহিনীর চলমান সংঘর্ষের কারণে এখনো অজানা আতঙ্কে বান্দরবানের সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালেও থেমে থেমে গুলির শব্দ শুনতে পাওয়া গেছে উলুবুনিয়া, উনচিপ্রাং ও হোয়াইক্যংসহ সীমান্তঘেষা কয়েকটি এলাকায়।

এর আগে, শনিবার ভোরে একটানা তিনঘণ্টা গোলাগুলি চলে সীমান্তের ওপারে। সেখান থেকে বেশকিছু বুলেট এসে পড়ে বাংলাদেশের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু এলাকায়। বসতঘর ও দোকানপাটে সেসব বুলেট পড়ায় আতঙ্ক বাড়ছে সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে। তবে, কি কারণে এসব গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে তা এখনও জানা যায়নি।

হোয়াইক্যং ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু জানিয়েছেন,

মিয়ানমারের দুই বাহিনীর সংঘর্ষের গুলি এসে বসতঘর, দোকান, রাস্তাঘাটে পড়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে ঘরবাড়িতে অবস্থান করছে। বাহিরে বের হচ্ছে না। শনিবার ভোর রাতে একাটানা গোলাগুলির শব্দে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। কিছুক্ষণ পর পর থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।

এদিকে, সীমান্ত এলাকা থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে ২৩ রোহিঙ্গাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গত মঙ্গলবার উখিয়ার রহমতের বিল সীমান্ত দিয়ে এই অস্ত্রধারী রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করার পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও লোকজন তাদের আটক করে বিজিবির কাছে সোপর্দ করে।

স্থানীয় লোকজন বলছে, পালিয়ে আসা ওই ব্যক্তিরা আরাকান রোহিঙ্গা আর্মির (এআরএ) সদস্য। সশস্ত্র এই বিচ্ছিন্নতাবাদী দলটির প্রধান নবী হোসেন। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বিজিপি সদস্যসহ ৩৩০ জন নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে নিতে তৎপরতা শুরু করেছে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।