মিয়ানমার ইস্যুর সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক আছে কি না, প্রশ্ন বিএনপির

গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন

টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপি বুধবার একটি সংবাদ সম্মেলনে মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতির সাথে ঢাকার শেখ হাসিনা সরকারের কোনও সম্পর্ক আছে কি না, এমন প্রশ্ন তুলেছে।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “কী ঘটতে যাচ্ছে, এর অন্তরালে কী আছে? এর সাথে যারা এই ঘটনা ঘটাচ্ছে, তার সাথে সরকারের কোনও গোপন সম্পর্ক আছে কি?”

‘‘যদি না থাকে তবে নিশ্চয়ই সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং জনগণের কাছে দৃশ্যমান করবে। কারন মিয়ানমারের মতো দেশ এই শক্তি ও সাহস ইতিপূর্বে কোনও দিন পায় নাই, আজকে কেন পায়’’?

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনে মিয়ানমার ইস্যুতে সরকারের পদক্ষেপ যথাযথ কি না, এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে।

তিনি বলেন, “এক দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরম্ভ করে প্রতিনিয়ত বিজিবি সদস্য, দেশের জনগণকে হত্যা করছে, অন্যদিকে পূর্ব দিক থেকে মিয়ানমারের গুলি, কয়েকজন আহত ও নিহত হয়েছে।”

“ঝাঁকে ঝাঁকে সেনা পলায়ন ও বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ, এটা নিয়ে আমাদের শুধু নয় আপনাদেরকেও ভাবতে হবে”, মন্তব্য করেন মি. রায়।

এর আগে মঙ্গলবার, মিয়ানমার ইস্যুতে সরকারের ‘নতজানু নীতি’র কারনে সীমান্ত অরক্ষিত রয়েছে – বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্যকে ‘হাস্যকর’ বলে দাবি করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছিলেন, “বাংলাদেশ সরকারের নীতির কারনে আরাকান আর্মি আর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধ হচ্ছে এগুলো পাগলের প্রলাপ ছাড়া কিছু নয়।”

মিয়ানমার থেকে বুধবার আরও ৬৩ জন বর্ডার গার্ড পুলিশ বা বিজিপি সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। এ নিয়ে মিয়ানমার থেকে ৩২৭ জন নিরাপত্তা রক্ষী বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।

মিয়ানমার চলমান সংঘর্ষে মর্টার শেল ছোঁড়ার ঘটনায় বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুইজন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১০ জনের মত।