২০২৪ এর প্রথম ৩০০ কোটি! ১১ দিনে কত আয় করল হৃতিকের ছবি?
টুইট ডেস্ক : হৃতিক-দীপিকা অভিনীত ফাইটার ছবিটির ব্যবসা সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত একদমই ভালো যায়নি। টিমটিম করে আয় করেছে এই ছবি।
তবে শনি-রবি আসতেই বদলালো ছবিটা। দ্বিতীয় সপ্তাহান্তে বেশ ভালোই আয় করল এই ছবি। উইকডেজের তুলনায় এই সময়টায় ফাইটার অনেকটাই বেশি আয় করেছে। শনি-রবিবার আয়ের মাত্রা ৯০ শতাংশ বেড়েছে!
সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত এই এরিয়াল অ্যাকশন ছবিটি মুক্তির পর দ্বিতীয় শনিবার ব্যবসায় প্রায় ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি দেখল। শনিবারের পর রোববারও বেড়েছে সেই পরিমাণ।
সচনিল্কের তরফে একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এগারোতম দিনে এই ছবিটি বক্স অফিসে ১৩ কোটি টাকা আয় করেছে। ফলে ভারতীয় বক্স অফিসে বর্তমানে ফাইটার ছবির মূল আয় গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৫.৭৫ কোটি টাকায়! বিশ্বজুড়ে এটি প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ঘরে তুলে ফেলেছে।
২৫ জানুয়ারি যখন ছবিটি মুক্তি পায় তখন এটি ২২.৫ কোটি টাকা আয় করেছিল। তারপর দ্বিতীয় দিনে সেটা বেড়ে হয় ৩৯.৫ কোটি। এরপর শনি-রবি সেই আয়ের পরিমাণ বেশ খানিকটা কমে যায়, দুদিনে ২৭.৫ এবং ২৯ কোটি লাভ হয়।
এরপর সোম, মঙ্গল এবং বুধবার এই ছবিটি বক্স অফিসে যথাক্রমে ৮, ৭.৫ এবং ৬.৫ কোটি টাকা আয় করে। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার সেটা আরও কমে হয় ৬ এবং ৫.৭৫ কোটি টাকা। তবে শনিবার আসতেই বাড়ে আয়ের পরিমাণ। এদিন ১০.৫ কোটি আয় করে ফাইটার। রোববার সেটা বেড়ে হয় ১৩ কোটি। ফলে এখন এই ছবির মোট আয় ১৭৫.৭৫ কোটি টাকা।
ফাইটার ছবিটির বিশ্বজুড়ে কালেকশন-
ট্রেড অ্যানালিস্ট মনোবল বিজয়বালান এদিন ফাইটার ছবিটির ওয়ার্ল্ড ওয়াইড বক্স অফিস কালেকশন প্রকাশ্যে আনেন। তিনি জানান, এই ছবিটি বক্স অফিসে ৩০৬.১৬ কোটি আয় করে ফেলেছে ইতোমধ্যেই। তিনি টুইট করে জানান, ‘হৃতিক রোশন এবং দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ফাইটার ৩০০ কোটির গণ্ডি টপকে গেল।
এটা এই বছরের প্রথম ছবি যা এই গণ্ডি টপকে গেল।’ এটি প্রথম সপ্তাহে এই ছবিটি বিশ্বজুড়ে ২৬২.৭৬ কোটি টাকা আয় করেছে। এটি দ্বিতীয় শুক্রবার বক্স অফিসে ৯.৭৫ কোটি তুলেছে। তারপর শনি এবং রবিবার যথাক্রমে ১৫.১৯ এবং ১৮.৪৬ কোটি টাকা আয় করেছে।
ফাইটার প্রসঙ্গে-
২৫ জানুয়ারি মুক্তি পেল ফাইটার। সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালনা করেছেন এই ছবির। এটি একটি এরিয়াল অ্যাকশন মুভি। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন হৃতিক রোশন, দীপিকা পাড়ুকোন, অক্ষয় ওবেরয়, করণ সিং গ্রোভার, অনিল কাপুর প্রমুখ।
গত বছরও একই দিনে মুক্তি পেয়েছিল সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত পাঠান। সেটাও ছিল দেশাত্মবোধক একটি ছবি। তবে সেটার তুলনায় এখানে দেশাত্মবোধের পাঞ্চ অনেক বেশি।