সীমান্ত রক্ষা বাহিনীকে ধৈর্য ধরার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

টুইট ডেস্ক: মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে দেশটির সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর অনুপ্রবেশের ঘটনার মধ্যে বিরাজমান পরিস্থিতি বাংলাদেশ খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। দেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীকে ধৈর্য ধারণ করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার বিরোধী দলীয় চিফ হুইপের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মিয়ানমারের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সীমান্তের এপারে সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার বিষয়টি সংসদকে অবহিত করেন।

এ দিন বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। মিয়ানমারে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের যুদ্ধের মধ্যে সোমবার সকাল পর্যন্ত গত দুই দিনে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে ১০৫ জন সশস্ত্র বিজিপি সদস্য।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির যুদ্ধ চলছে গত কয়েকদিন ধরেই। রোববার সেই যুদ্ধ আবার জোরালো হয়েছে। ওই দিন ৬৮ জন বিজিপি সদস্য পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন, তাদের মধ্যে ১৫ জন আহতও রয়েছেন।

সংঘর্ষের মধ্যে সোমবার দুপুরের দিকে তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে উড়ে আসা মর্টার শেলের আঘাতে বাংলাদেশিসহ দুজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এমন প্রেক্ষাপটে সোমবার বিকালে সংসদ অধিবেশনে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু প্রশ্ন রাখেন, মিয়ানমারে সংঘাতের মধ্যে সাধারণ মানুষ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। গোলাগুলি হচ্ছে, সে গুলি এসে বাংলাদেশে পড়ছে। এ অবস্থায় সীমান্তে নিরাপত্তার প্রশ্নে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা প্রশ্নে সরকার থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে?

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে প্রশ্নোত্তরে অংশ নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে সরকার ওয়াকিবহাল আছে। আজকেও ওখানকার সীমান্ত রক্ষা বাহিনী অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যে কিছু আহতও রয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, একটা স্কুলে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটা আলোচনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবং আমরা সে আলোচনা করার জন্য তাদেরকে ফেরত পাঠানো বা ফেরত যদি পাঠানো না যায় অন্যান্য ব্যবস্থা কী করা যায় সেটাও হবে।

সার্বিক বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেটা নির্দেশ দিয়েছেন সেটা হচ্ছে আমাদের যে সশস্ত্রবাহিনী বা প্যারা মিলিটারি বাহিনী, সীমান্ত রক্ষী বাহিনী তাদেরকে ধৈর্য ধারণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্ডারে স্কুল বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মর্টার শেলে আমাদের একজন ও ওদের একজন মারা গেছে এটাও সঠিক। এ পরিস্থিতি বাংলাদেশ খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং এটার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।