ড. ইউনূসের সাজা স্থগিতের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন

 ‍টুইট ডেস্ক: গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূসের আপিল গ্রহণ করে তার সাজা স্থগিতের যে সিদ্ধান্ত শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল দিয়েছে, তা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে গেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে আদালতের অনুমতি ছাড়া ইউনূসের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে ওই আবেদনে।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান রোববার হাই কোর্টে এ আবেদন করেন। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।

শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় তিন বছর আগে এ মামলা দায়ের করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। গত ১ জানুয়ারি এ মামলার রায়ে নোবেলবিজয়ী ইউনূসসহ চারজনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।

দণ্ডিত বাকি তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। আপিলের শর্তে সেদিনই তাদের এক মাসের জামিন দেওয়ায় কাউকে কারাগারে যেতে হয়নি। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে এর বিরুদ্ধে আপিল করেন ইউনূস।

এরপর ২৮ জানুয়ারি আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তাদের জামিন বহাল রাখে শ্রম আপিল ট্রাইবুনাল। সেই সঙ্গে সাজা স্থগিত করে মামলার রায়সহ নথি আগামী ৩ মার্চ আদালতে উপস্থাপনের তারিখ রাখেন বিচারক এম এ আউয়াল।

রোববার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের আবেদনে সাজা স্থগিতের ওই আদেশই চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে, যা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, এটা যাওয়া যায় না। আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এটা করতে পারেন না।

ব্যারিস্টার মামুন বলেন, শ্রম আপিল ট্রাইবুনাল যেদিন আপিল আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করলেন, আমরা জানলাম যে রায়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। এখন আদেশের কপি তুলে দেখি আগামী তারিখ, অর্থাৎ ৩ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। জামিনও ওই দিন পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে।

নিম্ন আদালতে শুনানি পেনডিং থাকা অবস্থায় অতি আগ্রহী হয়ে কলকারখানার আইনজীবী এটা করেছেন। আর রায় স্থগিতের জন্য বেঁধে দেওয়া সময় আর জামিনের মেয়াদের বিষয়ে নিম্ন আদালতে তাদের হস্তক্ষেপ রয়েছে।

প্রশ্ন করা হলে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল রায় স্থগিত করে যে আদেশ দিয়েছেন তা আইনসম্মত নয়। বিচারক তা পারেন না।হাই কোর্টে আমার প্রেয়ার ছিল, আইনগতভাবে আপিল ট্রাইবুনালতো করতে পারেন না। আমি হাই কোর্টে তার আদেশকে চ্যালেঞ্জ করেছি।