ঝাড়খণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন পদত্যাগের পর দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার

হেমন্ত সোরেন । ফাইল ছবি

বিশ্ব ডেস্ক: ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে পদত্যাগ করার পর, দেশের অর্থনৈতিক অপরাধ সংস্থা (এফআইএ) তাকে দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করেছে।

এফআইএর প্রধান সূত্রে জানা গিয়েছে, হেমন্ত সোরেনকে দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।

‘ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) দলের হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।’

এদিকে ক্ষমতাসীন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার অন্যতম প্রবীণ নেতা পরিবহনমন্ত্রী চম্পাই সোরেন ঝাড়খণ্ড স্টেইটের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় গনমাধ্যম।

হেমন্ত সোরেন তার গ্রেফতারকে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করে একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন। শুক্রবার এই মামলার শুনানি হবে।

দুর্নীতি দমন সংস্থার অভিযোগ, সরকারি জমির মালিকানা পরিবর্তন ও সেগুলো আবাসন কোম্পানিগুলোর কাছে বিক্রি করে দেওয়ার সঙ্গে বড় একটি চক্র জড়িত।

যদিও সোরেন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, সম্পত্তিটি অন্যায়ভাবে তার মালিকানাধীন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

‘সোমবার রাজধানী দিল্লিতে হেমন্ত সোরেনের বাসভবনে পৌঁছে পুলিশ জানতে পারে, হেমন্ত সোরেন নিখোঁজ। সংস্থাটি জানিয়েছে, ওই বাড়ি থেকে ৩৬ লাখ রুপি (৪৩ হাজার ৩৮১ ডলার) ও একটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।’

‘একদিন পর রাঁচিতে হাজির হয়ে হেমন্ত সোরেন জানান, বুধবার তিনি তার জবানবন্দি রেকর্ড করবেন। বুধবার সন্ধ্যায় রাঁচিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ও ইডির কার্যালয়ের ১০০ মিটার এলাকা জুড়ে কারফিউ জারি করা হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই হেমন্ত সোরেন পদত্যাগপত্র জমা দেন এবং এরপরই তার অনুগত চম্পাই সোরেনকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। রাতেই গ্রেফতার করা হয় হেমন্ত সোরেনকে।’

ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা দলটি অভিযোগ করেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণ নির্বাচনের আগে বিরোধী নেতাদের টার্গেট করতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করছে। যদিও বিজেপি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।