‘একটি রায় ঘিরে দেশের ‘মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার’ চেষ্টা হচ্ছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক: নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা নিয়ে দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের আদালত ও বিচার বিভাগকে প্রশ্নবিদ্ধ ও হেয় করার চক্রান্ত চলছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার ড. ইউনূসকে হয়রানি করার জন্য কিছু করছে না। সরকার তার বিরুদ্ধে কোনো মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করছে না। যে মামলা হয়েছে সেটা শ্রমিকরা করেছিলো। তারপর শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত যে অধিদপ্তর আছে, সে ডিপার্টমেন্ট তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালে শ্রমিকেরা অভিযোগ করে তাদের অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। এরপর বাংলাদেশের শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী একজন শ্রম দফতর অভিযোগের ভিত্তিতে তার প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। পরে আবার ২০২১ সালে ইনসপেকশন করা হয়। এরপর গ্রামীন টেলিকম ও ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা হয়।

মন্ত্রী জানান, শ্রমিকেরা অধিকার বঞ্চিত হয়েছে বলে মামলা করেন। পরে আশ্বাসের প্রেক্ষিতে সেই শ্রমিক মামলা তুলে নেয়। তার মানেই হচ্ছে বঞ্চিত করা হয়েছে এটা স্বীকৃত। শ্রমিক বঞ্চিত এটা সব পক্ষই স্বীকার করেছে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন,

সব অকাট্য প্রমাণ থাকার পরেও বিদেশে ছড়ানো হচ্ছে সরকার নাকি ড. ইউনূসকে হয়রানি করছে। আমি বলতে চাই সরকার কোন মামলা দিচ্ছেনা। বিশ্বের ১২০ জন বিশিষ্ট নাগরিক তাকে নিয়ে স্টেটমেন্ট দিয়েছে, তাই মানুষ জানতে চায় আসলে কি ঘটেছে। তাই এই ব্যাখা দেয়া।

আইনমন্ত্রী বলেন, যতবারই ড. ইউনূস সময় চেয়েছেন, তাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যুক্তি তর্ক উপস্থাপনের সুযোগ পেয়েছে দুইপক্ষের আইনজীবী। সব ধারা বিশ্লেষণ করে ৬ মাসের কারাদন্ড ও আর্থিক দণ্ড দেওয়া হয়।

সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যথেষ্ট সময় দিতে হবে। পুলিশ তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট না দিলে তো করার কিছু নাই। যদি তদন্ত করতে ৫০ বছর সময় লাগে তাহলে ততদিন অপেক্ষা করতে হবে।