ইসরাইলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ২৭ হাজার ছুঁই ছুঁই

টুইট ডেস্ক: ইসরাইলি বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে নিহতের সংখ্যা ২৭ হাজার ছুঁই ছুঁই। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৬৬ হাজার মানুষ।

আল জাজিরার খবরে ফিলিস্তিনের গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানানো হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ২৬ হাজার ৯০০ জনে পৌঁছেছে। নির্বিচার এই মারাত্মক ইসরাইলি আক্রমণ ১১৭তম দিন পার করেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, শেষ একদিনে গাজায় অন্তত ১৬টি স্থানে ‘গণহত্যা’ চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী (আইডিএফ)। যাতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫০ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন ৩১৩ জন।

এছাড়া আইডিএফের অবরোধের ফলে উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছতে না পারায় এখনও অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে।

অন্যদিকে, ইসরাইলের দাবি, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন এক হাজার ২০০ ইসরাইলি। জিম্মি হয়েছেন ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, হামাসের হামলার পর পুরো গাজাকে অবরুদ্ধ করে তেল আবিব। ফলে অঞ্চলটিতে শুরু হয় তীব্র খাদ্য ও জ্বালানি সংকট।

এছাড়া আইডিএফের বোমা বর্ষণে গুড়িয়ে গেছে গাজার প্রায় ৫০ শতাংশ বসতবাড়ি। যাতে বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ৮৫ শতাংশ গাজাবাসী।

পার্সটুডের খবরের বলা হয়েছে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ইসরাইল তার লক্ষ্য অর্জন না করা পর্যন্ত গাজা থেকে পুরোপুরি সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়া সম্ভব নয়। হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করার অঙ্গীকার করেছেন নেতানিয়াহু। যাতে ভবিষ্যতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে আর কোন হামলা চালাতে না পারে তা নিশ্চিত করতে চান তিনি।

প্যারিসে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল, কাতার ও মিশরীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার পর সম্ভাব্য নতুন চুক্তির রূপরেখা তৈরি করা হয়।

নভেম্বরে সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতিতে প্রায় শতাধিক ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে আটক ২৪০ ফিলিস্তিনি মুক্তি পায়। হামাসের হাতে এখনো আরও ১০০ জন জিম্মি আটক রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।