গাজায় হেপাটাইটিস-এ সংক্রমণ বাড়ছে: জাতিসংঘ

গাজায় অবস্থিত শিবিরগুলোর জনাকীর্ণ অবস্থা। ছবি : সংগৃহীত

বিশ্ব ডেস্ক: জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের ফলে অতিরিক্ত জনাকীর্ণতা, পরিষ্কার পানির অভাব এবং দুর্বল স্যানিটেশনের কারণে হেপাটাইটিস-এ সংক্রমণ বেড়েছে এবং সতর্কতা প্রকাশ করেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে যে, গাজায় সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য প্রণালী দুর্বল এবং অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে। ২০২৩ সালের পুরো নভেম্বর মাসের তুলনায় ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে হেপাটাইটিস-এ রোগী হার ১৬ গুণ বেড়েছে।

ইউএনআরডব্লিউএ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জানিয়েছে, ‘গাজায় হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ টয়লেট ও গোসলের জায়গা ভাগাভাগি করে নিচ্ছে।’

ডব্লিউএইচও গতসপ্তাহে বলেছিলেন, গাজায় ২৪ টি হেপাটাইটিস-এ কেইস টেস্ট কিটের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে এবং এই রোগ ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে ‘মানবেতর জীবনযাপন’ দায়ী।

ডব্লিউএইচও-এর মহাপরিচালক টেড্রোস ঘেব্রেইয়েসুস গত বৃহস্পতিবার এক এক্স বার্তায় বলেন, ‘‘রোগ নির্ণয়ের ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত, ‘এখানে নেই কোনো কার্যকর ল্যাবরেটরি’ চিকিৎসা দেয়ার ক্ষমতাও সীমিত হয়ে গেছে।’’

‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, গত সপ্তাহ পর্যন্ত গাজায় হেপাটাইটিস-এ থেকে কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে সম্ভবত হেপাটাইটিস-এ এর কারণে কয়েক হাজার লোকের জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ার রেকর্ড পাওয়া গেছে।’

সিডিসির মতে, হেপাটাইটিস-এ এর লক্ষণগুলোর মধ্যে হলুদ ত্বক বা চোখ, খেতে না চাওয়া, পেট খারাপ, বমিভাব, পেটে ব্যথা, জ্বর, ডায়রিয়া, জয়েন্টে ব্যথা এবং ক্লান্ত বোধ করা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। শিশুদের তুলনায় প্রাপ্তবয়স্করা সংক্রামিত হলে লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।