ক্রিকেট ঈশ্বরকে ছুঁয়ে দিলেন কোহলি
খেলা ডেস্ক : বিরাট কোহলি যখন সবে খেলা শুরু করেছেন, তখনি বলা হয়েছিলো- তিনিই হতে যাচ্ছেন পরবর্তী শচীন টেন্ডুলকার। হলোও তাই। রোববার নিজের ৩৫তম জন্মদিন রাঙালেন সর্বাধিক সেঞ্চুরির রেকর্ড ছুঁয়ে। ৪৯তম ওয়ানডে শতকে শচীন টেন্ডুলকারের পাশে বসলেন তিনি।
কলকাতার ইডেন গার্ডেনস স্টেডিয়ামে ক্যারিয়ারের ৪৯তম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন বিরাট কোহলি। কাগিসো রাবাদার তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে এই কীর্তি গড়েন কোহলি। এজন্য খেলেছেন ১১৯ বল।
২০১৩ সালের ১৬ নভেম্বর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট খেলে ওয়াংখেড়ে থেকে চোখের জলে বিদায় নিয়েছিলেন ‘গড অফ ক্রিকেট’। এর দুই বছর আগে ২০১১ সালের ২ এপ্রিলের রাতে শ্রীলঙ্কাকে বিশ্বকাপের ফাইনালে হারিয়ে এই ওয়াংখেড়েই স্টেডিয়ামের মাঠে ঘুরেছিলেন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’। সেই রাতে বিশ্ব জয়ের পর শচীনকে কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন বিরাট।
অনেকেই তাই তার ৪৯তম শতরানের সেরা মঞ্চ বলে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামকেই ধরে নিয়েছিল। তবে আসমুদ্র হিমাচলকে চুপ করিয়ে শতরান থেকে ১২ রান দূরে বিরাট ফিরে যান। যদিও এবার আর তাকে থামানো গেলো না। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হোম গ্রাউন্ডে জন্মদিনে গড়লেন বিশেষ মাইলস্টোন।
তিন দিন আগে ৪৯তম শতরান না করতে পারলেও, বিরাট তার ‘আইকন’-কে ছাপিয়ে অন্য একটি রেকর্ড নিজের নামে করেছিলেন। শচীন তার দীর্ঘ ২৪ বছরের ক্যারিয়ারে কোনো এক বছরে মোট সাতবার ১০০০ রান করেছিলেন। ১৯৯৪, ১৯৯৬, ১৯৯৭, ১৯৯৮, ২০০০, ২০০৩ ও ২০০৭ সালে এই কীর্তি গড়েছিলেন।
বিরাট সেই রেকর্ডেও নিজের নাম লিখিয়ে নেন। এই নিয়ে আটবার কোনও এক বছরে ১০০০ রান করার নজির গড়েছিলেন তিনি। ২০১১, ২০১২, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২৩ সালে এই কীর্তি গড়ে শচীনকে টপকে যান বিরাট।
সুনীল গাভাসকরের সময় ক্রিকেট কোচেরা বলতেন তার খেলা দেখে শিখতে। শচীনের যুগে তারা বলতেন মুম্বইকরের খেলা উপভোগ করতে। এখন কোচেরা বলেন বিরাটের খেলা দেখো আর শুধু হাততালি দাও, কারণ অন্য গ্রহের মানুষের খেলা কখনও অনুকরণ করা সম্ভব নয়। তবে কি বিরাটই ভারতের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার? কারণ এবার যে তিনি একদিনের ক্রিকেটে ‘মাস্টার ব্লাস্টার’-এর ৪৯তম শতরানে ভাগ বসিয়ে নিলেন।
গত ম্যাচের তুলনায় এবার প্রতিপক্ষ এবং পিচ ছিল আরও কঠিন। তবুও বিরাট সদর্পে গড়লেন মাইলস্টোন। ফলে শুধু সংখ্যার বিচারে বিরাটকেই কি সর্বকালের সেরা ব্যাটার বলে দেওয়া যায়? ফের একবার এই বিতর্ক কিন্তু বিরাটই জিইয়ে রাখলেন।