গত বছরে ব্যবসা ভালো গেছে মাত্র ৬ শতাংশের: সিপিডি’র গবেষণা

সিপিডি'র গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেম জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন

টুইট ডেস্ক: সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেম জরিপে তার অনুসন্ধানের ফলাফল প্রকাশ করেছেন। বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশে ব্যবসা করা ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশাসনের অদক্ষতা সবচেয়ে বড় সমস্যা। শতকরা ৮৫ শতাংশ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা একে অদক্ষতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

কেমন ছিলো ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ব্যবসা করার পরিবেশ-সেই বিষয়ে দেশের ছোট-মাঝারি ও বড় মোট ৭১ জন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে প্রতিবেদন তৈরি করে সিপিডি।

বুধবার(১৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যবসায় পরিবেশ ২০২৩ এর উদ্যোক্তা জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেছে সিপিডি। এ উপলক্ষে ধানমন্ডির সিপিডির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

এছাড়া, স্টার্ট আপ প্রতিষ্ঠানগুলি বৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য অনুদান প্রাপ্ত না করতে পারার কারণে এই উদ্যোক্তাদের জন্য আর্থিক ক্ষেত্রে অনেকভাবে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাংলাদেশে ব্যবসার আকার ভেদে বৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য প্রতিবন্ধকতার ধরন প্রকাশ্যে লক্ষণীয়। এছাড়া, বড় ব্যবসায়ীরা যেখানে মুদ্রা বাজার, আমদানি, রপ্তানির জটিলতায় বেশি সমস্যায় পড়েন। সেখানে, লাইসেন্স, গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ পাওয়ার মতো ছোট বিষয়েই নাজেহাল হতে হয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের।

এই গবেষণা দেখা গেছে, ছোট ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলোকে সরকারি প্রশাসনের অদক্ষতার কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বাংলাদেশে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য আর্থিক খাত বরাবরই অনুদার নীতি গ্রহন করে।

নতুন ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশে ব্যবসা করা কতটা চ্যালেঞ্জের? এর একটা ধারণা পাওয়া গেলো সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি’র একটি গবেষণায়।

এটা যোগ্যতার একটি নতুন দিকে নজর দেওয়া হয়েছে যে, সিপিডি ও ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের যৌথ উদ্যোগে ঢাকা, গাজীপুর ও সাভারের ৭১টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নেয়। ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২৩ সময়কালের ওপরে গবেষণাটি করা হয়েছে।

সিপিডি বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিবেশের উন্নতির জন্য ১০টি সুপারিশ জানালো। এই সুপারিশগুলির মধ্যে অন্যতম হলো ব্যবসায় বাণিজ্যের পরিবেশের উন্নতিতে বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ের ১০০ দিন, এক বছর, তিন বছর ও পাঁচ বছরের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন; ন্যায়পাল কার্যালয় স্থাপন; সীমিত সময়ের জন্য খাতভিত্তিক কিছু কমিশন গঠন, যেমন ব্যাংক, শেয়ারবাজার, নিয়ন্ত্রক সংস্থার সংস্কার; একটি সমন্বিত আর্থিক লেনদেন খাত প্রতিষ্ঠা; সরকারি কেনাকাটা ব্যবস্থা আধুনিক করা ইত্যাদি।