যে শর্ত মানলে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে সৌদি

টুইট ডেস্ক : দীর্ঘ দিন ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন মধ্যস্থতায় দুই দেশের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় বেশ অগ্রগতির খবরও আসে।

তবে গাজা যুদ্ধ শুরু হলে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক দৃশ্যপট পাল্টে যায়। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পথ থেকে সরে আসে সৌদি।

তবে কয়েক মাস পর আবারও আলোচনায় এসেছে দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়টি। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ফিলিস্তিন ইস্যু সমাধান হলেই ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে সৌদি আরব।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের এক প্যানেল আলোচনায় সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান বলেছেন, সৌদি আরব ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো ফিলিস্তিনিদের জন্য রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বড় ধরনের চুক্তিতে পৌঁছাতে হবে।

ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, আমরা একমত যে মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক শান্তির বিষয়ে আসলে সেখানে ইসরায়েলের শান্তির বিষয়টি থাকে। তবে এটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের শান্তি নিশ্চিত করে করতে হবে।

এ সময় রাজনৈতিক চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েলকে সৌদি আরব স্বীকৃতি দেবে কি না জানতে চাইলে ফয়সাল বিন ফারহান বৃহত্তর বলেন, অবশ্যই।

ইতোমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মরক্কোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এখন ইসরায়েল যদি সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে পারে সেটি হবে তাদের জন্য বড় অর্জন। এমনকি ইসরায়েল ও সৌদির মধ্যে এই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিকে বদলে দিতে পারে।

সুন্নি মুসলমান প্রধান সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী দেশ এবং ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র মক্কা ও মদিনার অবস্থান এই দেশে। মুসলিম বিশ্বে এর যথেষ্ট ধর্মীয় প্রভাব রয়েছে।

গত অক্টোবরে হামাসের হামলার জবাবে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তিন মাসের বেশি সময় ধরে অব্যাহত ইসরায়েলি হামলায় ২৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

গাজায় যুদ্ধ শুরু হলে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার আলোচনা থেকে সরে আসে সৌদি আরব। এ বিষয়ে পুনরায় আলোচনা শুরু হতে আরও দেরি হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।