ইরাক-সিরিয়ার কুর্দিস্তানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা । ছবি : সংগৃহীত

বিশ্ব ডেস্ক: সিরিয়া ও ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে একাধিক সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরানের বিপ্লবী গার্ডরা। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।

‘ইসলামিক রেভলুশনারি গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) বিবৃতি উদ্ধৃত করে সরকারি ইরনা বার্তা সংস্থা জানায়, হামলায় ইরাকি কুর্দিস্তানের রাজধানী আরবিলে একটি গোয়েন্দা সদর দফতর এবং ইরান বিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সমাবেশ ধ্বংস করেছে।’

‘ইরাকের কুর্দিস্তান নিরাপত্তা পরিষদ জানিয়েছে, হামলায় ৪ জন নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছে। কুর্দিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি জানিয়েছে, নিহত বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকের মধ্যে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পেশরাউ দিজাই ছিলেন।

আইআরজিসি সিরিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে কমান্ডারদের একত্রিত করার স্থান। সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী অভিযানের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রধান গ্রুপ বিশেষ করে ইসলামিক স্টেট গ্রুপ, আইআরজিসির নিউজ এজেন্সি এ কথা নিশ্চিত করেছে। এতে বলা হয়, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সাম্প্রতিক হামলায় ইরানের দক্ষিণের শহর কেরমান এবং রাস্কে ইরানিদের হত্যার জবাবে সিরিয়ায় এই হামলা চালানো হয়।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস ওয়ার মনিটর জানায়, ‘আলেপ্পো ও এর গ্রামাঞ্চলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, যেখানে ভূমধ্যসাগরের দিক থেকে আসা কমপক্ষে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে।’

‘‘৩ জানুয়ারি কেরমানে আইআরজিসি জেনারেল কাসেম সোলেইমানির সমাধির কাছে জড়ো হওয়া জনতার ভিড়ে সন্ত্রাসীরা আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে প্রায় ৯০ জনকে হত্যা করে। পরে হামলার দায় স্বীকার করে আইএস।’’

‘ডিসেম্বরে রাস্কে একটি পুলিশ স্টেশনে জিহাদি গোষ্ঠী জইশ আল-আদল (আর্মি অফ জাস্টিস) গ্রুপের হামলায় কমপক্ষে ১১ ইরানি পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। জিহাদি গোষ্ঠী জইশ আল-আদল ২০১২ সালে গঠিত হয় এবং ইরান এটিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসাবে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। গ্রুপটি হামলার দায় স্বীকার করেছে।’

‘আইআরজিসি আরও বলেছে, তারা ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে কথিত ইযরায়েলি গোয়েন্দা সদর দফতর আক্রমণ করেছে। ইরানের ইরনা বার্তা সংস্থা এ কথা জানিয়েছে।’

এতে বলা হয়, ইসরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ সদর দফতরটি গোয়েন্দা কার্যক্রম বিকাশ এবং এই অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার কেন্দ্র হিসাবে কাজ করেছিল। আইআরজিসি বলেছে, ইরানের ওপর সাম্প্রতিক হামলা এবং ইরান-সংযুক্ত গোষ্ঠীগুলোর প্রতিরোধের অক্ষ এর প্রতিক্রিয়া হিসাবে এই হামলা চালানো হয়।