মিয়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর দখলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা: রয়টার্স

২০১৮ সালের ৬ এপ্রিল মিয়ানমারে এক কুচকাওয়াজে সৈন্যরা আরাকান আর্মির প্রধান মেজর জেনারেল তোয়ান মরত নাইংকে স্যালুট জানায়। ফাইল ছবি: আরাকান আর্মির উপপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিও তোয়ান আওং। ছবি: সংগৃহীত/টুইটার

বিশ্ব ডেস্ক: বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তবর্তী একটি শহর দখলে নিয়েছে মিয়ানমারের একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী । মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পালেতওয়া শহরের একটি বন্দর শহরে দখলের ঘটনা ঘটেছে আরাকান আর্মি (এএ) নামক বিদ্রোহী গোষ্ঠীর দ্বারা। এ জন্য ওই গোষ্ঠীর সভিপতি খাইন থু খা তাদের জীবনের মহৎ সাহস ঘোষণা করেছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

খাইন থু খা জানান, “আমরা পালেতওয়া নদীর তীরে অবস্থিত বন্দর শহরটি জয় করেছি। তার পরিণামে এ এলাকার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয়েছে। আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।”

আরাকান আর্মির (এএ) মুখপাত্র খাইন থু খা রোববার (১৪ জানুয়ারি) রাতে বলেছেন, এ শহরটি প্রতিবেশী দেশগুলোর (বাংলাদেশ ও ভারত) সঙ্গে বাণিজ্যের চাবিকাঠি।

‘নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই মুখপাত্র আরও বলেন, সীমান্তে স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের বিষয়ে আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। তিনি আরও বলেছেন, তারা শিগগিরই এলাকায় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগের দায়িত্ব নেবে। তারা কালাদান নদীর তীরে অবস্থিত বন্দর শহর পালেতওয়া জয় করেছে। ’

ছবি: সংগৃহীত

‘এর আগে আরাকান আর্মি দাবি করেছিল-তারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ১৭টি টাউনশিপের মধ্যে ১৫টিতেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে এবং এ সময়ে তারা জান্তা বাহিনীর কাছ থেকে ১৪২টি সেনাঘাঁটি দখল করে নিয়েছে। এর বাইরে তারা রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ শহর পালেতওয়ার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্যও লড়াই করে যাচ্ছে। ’

প্রসঙ্গত, ‘মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসে। এরপর থেকেই দেশটিতে বিদ্রোহ-আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। জান্তা বাহিনী ব্যাপক দমন-পীড়ন চালানো শুরু করলে দেশটির বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে।’

সর্বশেষ গত বছরের অক্টোবর ‘উত্তর মিয়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী-মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং আরাকান আর্মি (এএ) জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মিলিত লড়াই শুরু করে। মাঝে চীনের মধ্যস্থতায় এই তিন গোষ্ঠীর সঙ্গে একবার সমঝোতার চেষ্টা হলেও তা ব্যর্থ হয়।’