মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে উপযুক্ত নয় ইরান: সিএনএন রিপোর্ট
বিশ্ব ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে চলমান যুদ্ধের উত্তেজনায় ইরান সাময়িকভাবে লাভবান হলেও দীর্ঘমেয়াদে এ যুদ্ধ চালানোর জন্য দেশটি উপযুক্ত নয় বলে এক বিশ্লেষনে জানিয়েছেন সিএনএন।
সিএনএন এক প্রতিবেদনে চলমান মধ্যপ্রাচ্য সংকটে ইরানের পাওয়া সুবিধা ও দীর্ঘমেয়াদে ঠিক কী জন্য ইরান লাভবান হবে না তার কয়েকটি কারণ ব্যাখ্যা করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামাসের হামলা ও এর জবাবে গাজায় ইসরায়েলি আক্রমণের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
‘গাজায় ইসরায়েলের হামলায় সহযোগিতার কারণ দেখিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ারা আমেরিকা ও এর মিত্রদের ওপর হামলা শুরু করে।’
ইয়েমেনের হুথিরা ‘রেড সি’ ও ‘এডেন’ উপসাগরে বাণিজ্য জাহাজে এ সময়ে ২৬টি হামলা চালিয়েছে।
লেবাননের হিজবুল্লাও এবং ইরাকের কিছু ‘শিয়া’ মিলিশিয়া গোষ্ঠীও ওই সব দেশে আমেরিকান স্থাপনায় হামলা চালায়।
এ সব হামলা ইরানের বর্তমান ক্ষমতাসীনদের বছরের পর বছর ধরে দুর্নীতির অভিযোগে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কোনঠাসা হওয়া থেকে সাময়িকভাবে রেহাই দিয়ে।
‘প্যালেস্টাইন’ ও ‘মুসলিম’ বিষয়গুলো ব্যবহার করে তারা নিজেদের অর্থনৈতিক সংকট, আগের বছরের বিক্ষোভ ও জনরোষ থেকে আপাতত মুক্ত করে নিয়েছে।
গত শুক্র ও শনিবার (১৩ ও ১৪ জানুয়ারি) টানা দুদিন আমেরিকা এবং তার মিত্ররা ইয়েমেনে হুথিদের ওপর বেশ বড় আক্রমণ চালায়।
হুথিরাও ইতোমধ্যে এর জবাব দেয়ার হুমকি দিয়েছে যাতে এ অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া বা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন গত শুক্রবার সরাসরি হুথিদের ওপর আরও আক্রমণ পরিচালনার ঘোষণা দেন।
ইরানের সমর্থনে মিলিশিয়ারা আক্রমণ অব্যহত রাখলে আমেরিকার ঘোষণা অনুযায়ী শেষ পর্যন্ত এখানে যদি সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হলে তেহরানের আধাসামরিক অংশীদাররা ধ্বংসের সম্মুখীন হতে পারে।
ফলে এ অঞ্চলে ইরানের ক্রমবর্ধমান প্রভাব কমে আসবে যা নিশ্চিতভাবে চাইবে না দেশটি।
তবে, দেশটির অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের কারণে ইরানি নাগরিকেরা যুদ্ধ থেকে দূরে থাকতে চাচ্ছে এবং এসব অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক কারণে ইরান এখনও সরাসরি যুদ্ধে জড়ায়নি এবং নিকট ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে অংশ নিতে হলে লাভ হতে পারে না এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।