ইকুয়েডরে গ্যাং-ভিত্তিক সহিংসতায় ৯০০ জন গ্রেপ্তার
টুইট ডেস্ক: ইকুয়েডরে জাতীয় নিরাপত্তা অভিযানের মাধ্যমে তীব্র গ্যাং-ভিত্তিক সহিংসতার কঠোর দমনের চেষ্টায় প্রায় ৯০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে ৯৪ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে সন্ত্রাসী গ্যাং গ্রুপের সদস্য হিসেবে।
ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্সি অফিস জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ড্যানিয়েল নোবোয়া মঙ্গলবার দেশে ‘অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘাতময় অবস্থা’ ঘোষণা করেছেন এবং সহিংস গ্যাংগুলোর দমনের লক্ষ্যে দেশে কঠোর দমন চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নোবোয়া এই অপরাধী গ্যাংগুলোকে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসাবে চিহ্নিত করেছেন এবং তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে আত্মসংরক্ষণের দক্ষতা।
প্রধানমন্ত্রী নোবোয়া বলেছেন, “অপরাধী গোষ্ঠীগুলো মূলত তাদের দমন করার চেষ্টাকে বাধা দেওয়া ও ভয় প্রদর্শন করতে দেশজুড়ে তীব্র সহিংস আক্রমণ শুরু করে যাতে সপ্তাহ জুড়ে বিস্ফোরণ, পুলিশ অপহরণ এবং কারাগারে বিশৃঙ্খলার মতো ঘটনা ঘটেছে ইকুয়েডরে।”
সিএনএন জানায়, সহিংসতা ব্যাপক ও তীব্র হলেও, নিরাপত্তা অভিযানে আটক ৮৫৯ জনের মধ্যে ৯৪ জন চিহ্নিত হয়েছেন সন্ত্রাসী গ্যাং গ্রুপের সদস্য হিসেবে। এ ছাড়াও, প্রেসিডেন্ট নোবোয়া ২২টি অপরাধী গ্যাংকে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসাবে চিহ্নিত করেছেন ।
ইকুয়েডরের গুয়াকিলে একটি কারাগার থেকে গত রোববার (৭ জানুয়ারি) হাই-প্রোফাইল গ্যাং লিডার ‘অ্যাডলফো ফিটো ম্যাকিয়াসের’ পালানোর কারণে এ সহিংসতার সূত্রপাত হয়েছিল। ফিটোর পলায়নের ঘোষণার পর ইকুয়েডরের কারাগার সংস্থা গত রোববার বিভিন্ন প্রদেশে অন্তত এরকম ছয়টি ঘটনার কথা জানিয়েছে।
এই অবস্থার প্রভাবে, সকল নাগরিকের জন্য প্রধানমন্ত্রী নোবোয়া একক ধরনের কঠোর কদম নেয়ার আদেশ দেন এবং দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে সহিংস গ্যাংগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবারেই প্রেসিডেন্ট নোবোয়া দাবি করেছেন, ইকুয়েডরে বিদেশি বন্দিদের ৯০ শতাংশই কলম্বিয়ান, পেরুভিয়ান এবং ভেনেজুয়েলান।