খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিবি জিয়া পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কমিটির শোক প্রকাশ

সাবেক নারী প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াণে গণতন্ত্র ও রাজনীতিতে অপূরণীয় শূন্যতার কথা উল্লেখ করে শোকবার্তা প্রকাশ।
টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ব্যাংক জিয়া পরিষদ গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছে।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় সংগঠনটি জানায়, ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে মোট তিনবার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর এই নেতৃত্ব দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য ও গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত।
শোকবার্তায় বলা হয়, সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বহুদলীয় রাজনীতির বিকাশ এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে গণতান্ত্রিক ধারায় পুনর্গঠনে তাঁর ভূমিকা ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন এক সাহসী, দৃঢ়চেতা ও আপসহীন নেত্রী। “গণতন্ত্র কোনো দান নয়, এটি জনগণের অধিকার”—এই বিশ্বাস ধারণ করেই তিনি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তাঁর শাসনামলে অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা সম্প্রসারণ, দারিদ্র্য বিমোচন এবং সামাজিক নিরাপত্তা জোরদারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয় বলেও শোকবার্তায় উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক জিয়া পরিষদ আরও জানায়, দেশ ও জাতির প্রতি গভীর ভালোবাসা থেকেই তিনি বলেছিলেন—“বাংলাদেশই আমার একমাত্র ঠিকানা, এখানেই আমার শেষ ঠিকানা।” তাঁর প্রয়াণে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।
শোকবার্তায় সংগঠনটি বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া জানায় এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে।
কেন্দ্রীয় কমিটির শোক
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো: আশরাফুল আলম সজীব।
এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে দেশ একজন সাহসী, দৃঢ়চেতা ও আপসহীন গণতান্ত্রিক নেত্রীকে হারালো। সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বহুদলীয় রাজনীতির বিকাশ এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
মো: আশরাফুল আলম সজীব আরও বলেন, রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে বেগম খালেদা জিয়া দেশ ও জাতির কল্যাণে যে ভূমিকা রেখে গেছেন, তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। তাঁর নেতৃত্ব, ত্যাগ ও সংগ্রামের ইতিহাস বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
শোকবার্তায় তিনি মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন, যেন তিনি তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন। একই সঙ্গে শোকসন্তপ্ত পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও দেশবাসীর প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।






