গৌরবের ৫০ বছর: বান্দরবান সরকারি কলেজের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন

অসীম রায় (অশ্বিনী), বান্দরবান : পার্বত্য জেলা বান্দরবানের ঐতিহ্যবাহী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বান্দরবান সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করা হয়েছে। ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত কলেজটির গৌরবময় পথচলার এই বিশেষ মুহূর্তে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় উৎসবমুখর হয়ে ওঠে কলেজ প্রাঙ্গণ।
২৬ ডিসেম্বর দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে সূচনা হয়। এরপর বর্ণাঢ্য র্যালি, স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা, কনসার্ট ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। স্মৃতিচারণ পর্বে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তাঁদের ছাত্রজীবনের নানা স্মৃতি তুলে ধরেন, যা পুরো ক্যাম্পাসকে নস্টালজিয়ায় ভরিয়ে তোলে। সাংস্কৃতিক পর্বে জনপ্রিয় নির্বাক দলের কনসার্টসহ নানা পরিবেশনা দর্শকদের মুগ্ধ করে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই। কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর সঞ্জীব কুমার চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার আব্দুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম মনজুর রহমানসহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক ও বিশিষ্টজনেরা।
সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে মাসব্যাপী ক্রীড়া উৎসবেরও আয়োজন করা হয়। গত ৬ ডিসেম্বর শুরু হওয়া এই উৎসবে ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, মিউজিক্যাল চেয়ার, লুডু ও রশি টানাটানিসহ বিভিন্ন ইভেন্টে নবীন ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোজাম্মেল হক লিটন, জসীম উদ্দিন তুষার, আজহারুল ইসলাম বাবুল, রফিকুল আলম মামুন, উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী এবং সদস্য সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাশেদ।
উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাশেদ জানান, ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজ থেকে পড়াশোনা করে বহু শিক্ষার্থী চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মানজনক অবস্থানে পৌঁছেছেন। সুবর্ণ জয়ন্তীর অংশ হিসেবে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা, গুণীজন সম্মাননা এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বলেন, কলেজের প্রাক্তন শিক্ষক ও বর্তমান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাইয়ের মতো ব্যক্তিত্ব এই প্রতিষ্ঠানের গৌরব বহুগুণ বাড়িয়েছেন। তাঁর স্মার্ট ব্যক্তিত্ব ও পাঠদানের স্মৃতি আজও তাঁদের হৃদয়ে অম্লান।
উল্লেখ্য, গত ১৭ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় এবং ২৫ নভেম্বরের মধ্যে সকল শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার আহ্বান জানানো হয়।





