সবাই মিলে শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান তারেক রহমানের

টুইট নিউজ ডেস্ক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এখন সময় এসেছে সবাই মিলে দেশ গড়ার। এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে হবে, যে বাংলাদেশের স্বপ্ন একজন মা দেখেন। আমরা দেশের শান্তি চাই।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বক্তব্যের শুরুতেই তারেক রহমান বলেন, “প্রথমেই আমি রাব্বুল আলামীনের দরবারে হাজারো লক্ষ-কোটি শুকরিয়া আদায় করছি। তাঁর অশেষ রহমতে প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে এসে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হতে পেরেছি।”

তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে মা, বোন ও তরুণ প্রজন্ম নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছে। জুলাই যোদ্ধাসহ সময়ের সাহসী সন্তানদের হত্যা করা হয়েছে। শহীদ ওসমান হাদীসহ যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়তে পারলেই প্রকৃত অর্থে দেশ গড়া সম্ভব হবে। এজন্য ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে এসে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

তারেক রহমান বলেন, “১৯৭১ সালে যেমন দেশের মানুষ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, তেমনি ২০২৪ সালে সর্বস্তরের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে। বাংলাদেশের মানুষ আজ কথা বলার অধিকার ও গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে পেতে চায়।”

তিনি আরও বলেন, পাহাড় ও সমতলের মানুষ, মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান—সবাই মিলে একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। এমন একটি দেশ চাই, যেখানে নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে সবাই ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে ফিরে আসতে পারে।

শহীদ ওসমান হাদীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ওসমান হাদী চেয়েছিলেন এ দেশের মানুষ অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পাক। ১৯৭১ ও ২০২৪ সালে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে একটি প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।”

তারেক রহমান বলেন, তরুণ প্রজন্মই আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দেশকে দাঁড় করাতে হবে। আমরা দেশের শান্তি চাই।

এর আগে, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ‘বিজি-২০২’ ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ অতিক্রম করে তিনি দেশের মাটি স্পর্শ করেন এবং মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নেন।